Site icon Jamuna Television

স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় ২য় রাউন্ডের মুখ দেখছেনা বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু হারের তুলনায় জয় অনেক কম। যার ফলে পা রাখার সুযোগ হয়নি বাছাই পর্বের ২য় রাউন্ডেই। যেখানে বরাবরই দলের জন্য গোলের খরায় ভোগেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকাররা। তাই তো দলকে সাহায্য করার জন্য ডিফেন্ডাররাও প্রায়ই গোল করছেন বাছাই পর্বে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক ম্যাচ শেষে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে জামাল বাহিনী। অবশ্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাল-সবুজদের ইতিহাসটা খুব একটা মধুর না।

এখন পর্যন্ত ১০টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে ৫৬ ম্যাচ শেষে মাত্র ১০টি জয় ফুটবল দলের। ড্র ৮ ম্যাচে আর হার ৩৮টি খেলায়।

ফুটবল গোলের খেলা। সেখানে গোল করতে না পারার কারণেই হারের সংখ্যাটা বেশি বাংলাদেশের। অবধারিতভাবেই এর ব্যর্থতা নিতেই হয় ফরোয়ার্ড লাইনকে। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ গোল করেছেন ৩ জন। যাদের মধ্যে দুই জন সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড। ২য় সর্বোচ্চ ২ গোল করার তালিকায় নাম থাকা কায়সার হামিদ, জুয়েল রানা, সুজন সবাই পুরোদস্তুর ডিফেন্ডার। সবশেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ত্রাতা হয়ে আসা তপু বর্মনও অনুসরণ করেছেন তার পূর্বসূরীদের।

তাই তো বছরের পর বছর গোল মেশিনের খোঁজে থাকা বাংলাদেশের জন্য স্ট্রাইকার এখন সোনার হরিণ। এ কারণেই ৫৬ ম্যাচের মধ্যে আবার ৩১ টি ম্যাচেই কোন গোল করতে পারেনি লাল-সবুজরা। বাকী ম্যাচগুলোতে মোট ৩৬টি গোল করেছে বাংলাদেশ, যেখানে স্কোরার শিটে নাম তুলেছেন ২৩ জন ফুটবলার।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কা, মঙ্গোলিয়া আর পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর বড় হার ০-৮ গোলে জাপান আর জর্ডানের বিপক্ষে।

চলতি আসর পর্যন্ত বাংলাদেশ বাছাই পর্বে ২৩টি দলের বিপক্ষে খেলেছে। যেখানে হার এড়াতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, লাওস আর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে।

তবে শতভাগ হারের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইরান, জাপান, জর্ডান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

Exit mobile version