Site icon Jamuna Television

ক্ষতিপূরণের লোভে শরীয়তপুরে শত শত স্থাপনা

ফাঁকা জায়গায় গড়ে উঠছে ঘরবাড়ি-মিল-ফ্যাক্টরি। অথচ এসব জায়গায় থাকছেন না কেউ, চলছে না কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড। পদ্মা সেতুর সুবিধা পেতে সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প ঘিরে কিছু অসাধু ব্যক্তি রাতারাতি গড়ে তুলছে এসব। সবই করছে অধিক ক্ষতিপূরণ পাবার আশায়।

গত বছর অক্টোবর মাসে পদ্মা সেতুর জাজিরার নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত চার লেন নির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়। সেই লক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনকে ২৬০ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা দেয় সড়ক বিভাগ। তার পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশও জারি করে প্রশাসন। সেই থেকেই শুরু হয় প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সরকার ঘর ও গাছসহ বিভিন্ন ধরনের বিল দেয়, সেই কারণে এমন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। আরেক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, কিছু নির্দিষ্ট দালাল চক্র আছে যারা যেখানেই সরকারি অধিগ্রহণ হয়, সেখানেই তারা স্থাপনা তৈরি করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদওয়ানুর রহমান জানান, প্রোজেক্টের প্রস্তাব দেয়ার আগেই একটি ভিডিও করা আছে। তাই কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দালান তুলে ভিডিওতে ধরা পড়ে তাহলে ক্ষতিপূরণের ব্যয় থেকে নির্মাণ ব্যয় বাদ দিয়ে হিসেব করবো।

অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি নজরে এসেছে জেলা প্রশাসনেরও। এই বিষয়ে ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি) আসমাউল হুসনা লিজা। বলেন, যারা এমন স্থাপনা তুলছেন তাদের চিহ্নিত করে তালিকা করা হচ্ছে।

২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা নির্ধারণ করে হয়েছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version