Site icon Jamuna Television

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আইন কি সবার জন্য সমান?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বড় তারকাদের বেলায় শাস্তির পরিমাণ কম হলেও ছোটদের ক্ষেত্রে শাস্তি হয় কঠোর। সুজন নামের এক ক্রিকেটার যখন বাজে আম্পায়ারিং-এর প্রতিবাদ করে ৪ বলে ৯২ রান দেয় তখন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ১০ বছর। সেই জায়গায় সাকিব কিনা হলেন মাত্র ৩ ম্যাচ। এমনকি ম্যাচ পাতিয়েও সুজনের মত এত বড় শাস্তি পাননি আশরাফুল।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাত মূলক আম্পায়ারিং’র অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেই পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লালমাটিয়া ক্লাবের সুজন মাহমুদ বেছে নিয়েছিলেন অভিনব এক প্রতিবাদের পথ। হারতে যখন হবেই, তখন ৪ বলে ৯২ রান দিয়ে রীতিমত আলোড়ন তোলেন। আরেক বোলার তাসনিম দেন ৭ বলে ৬৯ রান। দুজনকেই ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি।

জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার শরিফুল হক প্লাবন। ২০১২ তে বিপিএলে মাশরাফীকে স্পট ফিক্সিং’র প্রস্তাব দেয়ায়, আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। অন্যদিকে, ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিলো আশরাফুলের বিরুদ্ধে। তার শাস্তি হয়েছিল মাত্র ৫ বছর! তেমনি বুকির সাথে যোগাযোগ করে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ ছিলেন ১ বছর।

শুধু এসবই না, অসহায় কর্তাদের বিপক্ষে উইকেটের মধ্য শুয়ে প্রতিবাদ করে নিষিদ্ধ হওয়ার রেকর্ডও আছে লিগে। সেবারও বিসিবি দাবি করে এই ঘটনা দেশের ক্রিকেটের জন্য ষড়যন্ত্র। যদি তাই হয় তাহলে স্ট্যাম্প তুলে এর চেয়েও বড় অপরাধ করেছেন সাকিব আল হাসান। তারপরও সাকিব নিষিদ্ধ হয়েছে ৩ ম্যাচ, আর সুজন-তাসনিমরা ১০ বছর?

বিসিবির এমন দ্বিমুখী আচরণে প্রশ্ন উঠে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আইন কি সবার জন্য সমান?

Exit mobile version