Site icon Jamuna Television

৪৫ বছরে পদার্পণ পানেনকা পেনাল্টির

১৯৭৬ সালের ইউরোতে আতোনিন পানেনকার বিখ্যাত চিপ করে নেয়া পেনাল্টি পূর্ণ করলো ৪৫ বছর। এই সময়কালে বিশ্ব ফুটবল বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পানেনকা পেনাল্টি দেখেছে জিনেদিন জিদান, লিওনেল মেসি, আন্দ্রেয়া পিরলো, থিয়েরি অনরির মতো কিংবদন্তী ফুটবলারদের পায়ে।

স্পট কিকের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্যরকমের সহজ এবং কার্যকর বলে এই চিপ করাকে বর্ণনা করেছেন আতোনিন পানেনকা। এর সাথে যোগ করেছেন, পেনাল্টিতে এভাবে গোল করার পর মুহূর্তেই তোমাকে সবাই জিনিয়াস ভাববে আর গোলরক্ষককে বোকা। কিন্তু হিসেবে গোলমাল করে ফেললে তোমার চেয়ে বোকা মনে হবে না মাঠের কাউকেই।

২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে জিয়ানলুইজি বুফনের বিরুদ্ধে পানেনকা পেনাল্টি নিয়ে গোল করার এই ধরনকে আবার আলোচনায় আনেন ফরাসি গ্রেট জিনেদিন জিদান। এরপর লিওনেল মেসি, ফ্রান্সেস্কো টট্টি, আন্দ্রেয়া পিরলো, থিয়েরি অনরি, অ্যারন রামসিরা মাঠে করে দেখিয়েছেন এই স্নায়ুক্ষয়ী চিপ।

আবার গ্যারি লিনেকারের মতো খেলোয়াড় এটি নিতে গিয়ে মিসও করেছেন। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচে পানেনকা পেনাল্টি নিতে গিয়ে গোলরক্ষকের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বোকা বনে যান ইংলিশ ফরোয়ার্ড গ্যারি লিনেকার।

১৯৭৬ সালের আজকের দিনে ইউরোর ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে থাকার পর টাইব্রেকারে চেকোস্লোভাকিয়ার এটাকিং মিডফিল্ডার আতোনিন পানেনকা এগিয়ে আসেন এবং সবাইকে হতবাক করে দিয়ে চিপের মাধ্যমে গোল করেন। সেই সময়ে বিশ্ব ফুটবলে তুমুল আলোড়নের জন্ম দেয়া এই পেনাল্টির নামই এরপর হয়ে যায় পানেনকা পেনাল্টি।

Exit mobile version