Site icon Jamuna Television

এতো মৃত্যুর পরও খুলনার গ্রামাঞ্চলে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব বর্তমানে যেসব জেলার ওপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে তাদের মধ্যে খুলনা অন্যতম। জেলাটিতে প্রতিদিনই করোনায় প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন চলছে পুরো জেলায়। অথচ মৃত্যুর খবর কিংবা লকডাউন কোনো কিছুই সচেতন করতে পারছে না খুলনার গ্রামাঞ্চলের মানুষদের। চায়ের দোকানে আড্ডা, পালাক্রমে বন্ধুরা মিলে লুডু খেলা, ফুটবলে মাতিয়ে রাখা, বাজার সদাই, বাধাহীন চলাচল সবই চলছে খুলনার গ্রামাঞ্চলে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় খুলনার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ করোনাকে গ্রাহ্যই করছেন না। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই বিভিন্ন অজুহাতে অবাধে চলাফেরা করছেন তারা। খুলনার রূপসা উপজেলার সেনেরবাজারের এক বাড়িতে কয়েক দিনের ব্যবধানে করোনায় মারা গেছেন স্বামী-স্ত্রী। আক্রান্ত হয়েছেন তাদের একমাত্র ছেলেও। অথচ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতেই চলছে স্বজনদের আনাগোনা।

যতই গ্রামের দিকে যাওয়া যায় ততই ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পড়ার বালাই নেই কারো মাঝে। চায়ের দোকানে খোশগল্প, দলবেধে লুডু খেলা, আড্ডা, ফুটবল আয়োজন থেকে শুরু করে নানা ধরণের গণজমায়েতই চলছে স্বাভাবিক সময়ের মতো। অথচ জেলাজুড়ে চলছে লকডাউন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনম সেন্টারের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সাধারণ করোনাভাইরাসের থেকে ৬০-৭০ ভাগ বেশি ছড়ায়। গ্রামের মানুষের মাঝে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা না থাকায় করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে।

খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, শুরু থেকেই মানুষ করোনার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অসচেতন। মানুষ বাইরে যাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রামের মানুষকে বলেলেই তারা বলে গ্রামে করোনা নাই।

খুলনার ৯ উপজেলার মধ্যে রূপসা ও দিঘলিয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি। খুলনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

Exit mobile version