Site icon Jamuna Television

কঠোর লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে থাকবে ১০৬ ম্যাজিস্ট্রেট

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তা।

দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’, ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

“এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন,” বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই সব কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সে অনুযায়ী ১০৬ জন কর্মকর্তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এবার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি টহলে থাকবে সেনাবাহিনী। ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয়ভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবেন।

এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে যন্ত্রচালিত কোনো যান চলবে না। বন্ধ থাকবে শপিংমল, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে জনসমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও। শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা জায়গায় বিক্রি করা যাবে। খাবারের দোকান খোলা রাখা যাবে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। তবে, শুধু টেকওয়ে সার্ভিস চালু থাকবে।

তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও মসজিদে নামাজ আদায় নিয়ে আলাদা নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ধর্ম মন্ত্রণালয়।

Exit mobile version