Site icon Jamuna Television

ইন্দোনেশিয়া প্রতিদিন দেখছে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু

করোনায় দৈনিক রেকর্ড শনাক্ত ও মৃত্যু দেখছে ইন্দোনেশিয়া। রোগীর চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালে। তীব্র অক্সিজেন সংকটে হাসপাতালের গেট থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসকদের পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।

করোনা রোগীতে ভরে গেছে হাসপাতাল। তাই বাইরেই তাবু টাঙিয়ে দেয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। এমন চিত্র এখন ইন্দোনেশিয়ার প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন অক্সিজেনের সংকটে।

সক্ষমতা না থাকায় কিছু হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত দেশটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখায় ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে করোনা পরিস্থিতি।

ইন্দোনেশিয়ার চিকিৎসক বানু হার্মাওন বলেন, গতকাল রাত ৮টার সময়ই অক্সিজেনের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। নতুন করে সিলিন্ডার না আসা পর্যন্ত রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। কারণ বেশির ভাগ রোগীরই প্রয়োজন পড়ছে অক্সিজেনের।

কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলো যেন নির্বিঘ্নে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে এ জন্য কাজ করছেন তারা।

ইন্দোনেশিয়ার একজন স্বেচ্ছাসেবী সেবাস্তিয়ান দাওয়ানতোরো বলেন, গেল ৪ বছর ধরে ইসকোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের সাথে কাজ করছি। সত্যি কথা বলতে করোনা নিয়ে আমার ব্যাপক ভয়। কিন্তু কিছু করার নেই, সেবা দেয়াটা আমার দায়িত্ব। দিনে অন্তত ৩০ থেকে ৪০টা সেবা দিচ্ছি। সংক্রমণ কমাতে পেছনে তাকানোর সময় নেই।

অ্যাম্বুলেন্স চালক ইনদাং ফির্তানা বলেন, তাদের জন্য যানজট এড়িয়ে খুব সহজেই হাসপাতালে পৌঁছাতে পারি। তাদের সহায়তা না পেলে হয়তো পথেই মরতে হতো বেশির ভাগ রোগীকে। কারণ এই অঞ্চলে সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে।

কয়েক দিন ধরেই দৈনিক রেকর্ড শনাক্ত এবং প্রাণহানি দেখছে এশিয়ার দেশটি। সংক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিম জাভাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন।

Exit mobile version