Site icon Jamuna Television

মেঘনার ভাঙনে বিলীন জনপদ; সৃষ্টিকর্তার সাহায্য চাইলেন হিজলাবাসী

নদীভাঙনে বিপর্যস্ত হিজলা উপজেলাবাসীর সমবেত দোয়া। ফাইল ছবি।

মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হাজারো স্থাপনা। ঝুঁকির মুখে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কোনা সুফল না পেয়ে এখন শুধু সৃষ্টিকর্তাকেই ডাকছে ভাঙনে দিশেহারা বরিশালের হিজলা উপজেলার বাসিন্দারা। তার কাছেই ভাঙন থেকে রেহাই চাইছে তারা।

এরই মাঝে মেঘনার লাগাতার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে বাস্তুহারা হয়েছে এই জনপদের বহু মানুষ। নদীর গ্রাসে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে হিজলা বন্দর, বাউশিয়া, হরিনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকা।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙন শুরু হলে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, সব নদীগর্ভে চলে যায়। সরকারের কাছে সহায়তা চাওয়া আর সৃষ্টিকর্তার দয়ার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই।

তবে ভাঙ্গন রোধে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, নদীর ভাঙন থেকে এই ভূখণ্ড রক্ষায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, হিজলা, বাউশিয়া এবং হরিনাথপুরে ৭.৬৭ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ করা হবে এবং ৫.৫ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্প আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটির অনুমোদন দিলে, উপস্থাপন করা হবে একনেকে। একনেকের অনুমোদনের পর শুরু হবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন।

Exit mobile version