Site icon Jamuna Television

করোনা রোধে কারফিউর সুপারিশ

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সমন্বয় বৈঠক

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মুখপাত্র রোবেদ আমিন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তিনি জানান, সারা দেশের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

করোনায় এক দিনে দুই শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবারও (৮ জুলাই) আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৬৫১ জন। সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় বৈঠকে। সেখানে সার্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতি ও হাসপাতালগুলোর অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন সব হাসপাতালের পরিচালক।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র রোবেদ আমীন বলেন, ১১ হাজার শনাক্ত হচ্ছে এখন। এরপর যদি দ্বিগুণ ও তিনগুণ হয় সেক্ষেত্রে কী হবে? সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন ৫০ হাজার বা এক লাখ হবার আগে, সিলিং পয়েন্ট ছোঁয়ার আগেই এটা কমাতে হবে।

বিধিনিষেধের পরও সংক্রমণের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি কমাতে ১৪৪ ধারা, কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোবেদ আমীন আরও জানান, কারফিউ সবারই প্রস্তাব। টেকনিক্যাল কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবও এটা। কঠোরতম অবস্থায় চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো কারফিউ ও ১৪৪ ধারা ভালো বোঝে। যদি প্রয়োজন হয় তো সেসবের ব্যবস্থা করা দরকার হতে পারে বাংলাদেশে। সেসব সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয় ও যারা দায়িত্বে আছে। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখন যে ভয়াবহ অবস্থায় আছে সেখান থেকে সংক্রমণ কমানোর জন্য মানুষের মেলামেশা ও চলাফেরা বন্ধ করতেই হবে।

অধিদফতরের মুখপাত্র জানান, এরইমধ্যে চাপে পরেছে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়। তাই স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ পুরোপুরি না মানলে সামনে সংকট ভয়াবহ হবে।

Exit mobile version