Site icon Jamuna Television

ছোট বোনের টাকা ফেরত দিতে বলায় বর্বরতার শিকার!

নীলফামারী প্রতিনিধি:

ছোট বোনের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেছিলেন। আর তাতেই স্বামী, শ্বশুর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বর্বরতার শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ঘরের খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ওপর। এলোপাতাড়ি মারধোরের শিকার গৃহবধূ এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

নির্যাতনের শিকার এই গৃহবধূর নাম পারভীন বেগম। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভনগঞ্জ গ্রামের জবেদ আলীর মেয়ে তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় পারভীন বেগমের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে সাতজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পাষণ্ড স্বামী আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, অন্যান্য আসামিরা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুন্দরখাতা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল খালেক তার ছোট বোন (আহত পারভীনের ছোট বোন) লাভলী বেগমের কাছে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে জমি বন্ধক দেয়। দীর্ঘদিনেও জমি বন্ধকের টাকা ফেরত না দেওয়ায় লাভলী বেগমের সাথে তার প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো। গত শনিবার সকালের দিকে পারভীন বেগম স্বামী আব্দুল খালেককে
টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শ্বশুরের হুকুমে স্বামী আব্দুল খালেক ও তার বাড়ির লোকজন পারভীন বেগমকে রশি দিয়ে ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়।

যমুনা অনলাইন: এআর/টিএফ

Exit mobile version