Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনে মৃত্যু ৯৩ হাজারের বেশি

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালেই মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনে ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। সম্প্রতি জাতীয় রোগ এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র (সিডিসি) প্রকাশ করে এ তথ্য।

সিডিসি জানায়, আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেশি। শুধু ২০২০ সালেই মাত্রাতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণে ৯৩,৩৩১ জন মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গতবার এই সংখ্যা ছিলো ৭২, ১৫১। এজন্য লকডাউন, অন্তহীন মহামারি, কর্মসংস্থান হারানো আর অর্থনীতিতে ধসের মতো কারণগুলোকে শনাক্ত করেছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

শোরলাইন রিকোভারি সেন্টার থেকে সেরে ওঠা মাদকসেবী আরমান ম্যাডেলা জানান, আইসোলেশনে থাকার সময় মনে হয়েছিলো মদ্যপান এবং মাদকাসক্তিতে একঘেয়েমি কাটাবে। অবশ্য সরাসরি আফিম নেয়া শুরু করিনি। বরং অ্যালকোহলের মাধ্যমে পুনঃপতন ঘটে আমার। কয়েক সপ্তাহ নেশাগ্রস্ত থাকার পর হুঁশ ফিরেছিলো। নিজে থেকেই ব্যথানাশক ওষুধ ভিকোডিন গ্রহণ শুরু করি। কঠিন হলেও,সুস্থতার খাতিরে প্রতিনিয়ত পাল্টাছি স্বভাব।

করোনা মহামারি চলাকালে দীর্ঘ লকডাউন এবং পরিবার থেকে আইসোলেশনে থাকাকে বদভ্যাস বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন স্বাস্থ্যবিদরা। বলছেন, মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন মুখোমুখি আলোচনার।

শোরলাইন রিকোভারি সেন্টার প্রোগ্রাম পরিচালক কেট জ্যুড, মহামারি শুরুর পর আমাদের নিরাময় কেন্দ্রে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই উদ্বেগ-হতাশা এবং দ্বিমুখী আচরণ স্পষ্ট। এগুলোর পেছনে আমরা আইসোলেশন, সমাজচ্যুত থাকা, মহামারি, ব্যবসায় ধসের মতো কারণগুলো শনাক্ত করেছি। অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার মতোই আমরা ভার্চুয়ালি দিয়েছি সর্বোচ্চ সহযোগিতা। কিন্তু, এসব রোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলাটা বেশি জরুরি।

সিডিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গেলো বছর প্রতিদিন মাদকের প্রভাবে গড়ে আড়াইশোর মতো মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এছাড়া, লকডাউনে হিরোইনের তুলনায় বেড়েছে কৃত্রিম আফিম গ্রহণের পরিমাণ। যা ৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকর।

Exit mobile version