ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামে প্রায় ২০ মণ ওজনের বাংলার টাইগারকে দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে বাড়িতে। তার সঙ্গে সেলফি তোলারও হিড়িক চলছে। কোরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন পালন করা বিশাল আকারের ষাঁড়ের নাম বাংলার টাইগার। ওজন আকৃতি ও সৌন্দর্যে নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাকে দেখতে। অনেকে বলছে, এবার কোরবানির হাট মাতাবে বাংলার টাইগার।
তবে করোনা কালে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড়টির মালিক বছির মোল্লা।
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক বছির মোল্লা। গত ২৬ মাস ধরে গরুটি পালন করছেন তিনি। নিজের গোয়ালের ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীর বাচ্চা বাংলার টাইগার।
গরুর মালিক বছির মোল্লা বলেন, আমার কোন গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৩টি গরু আছে। ৩ বছর আগে প্রথমে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কিনি। সেই গাভীর বাচ্চা আমার বাংলার টাইগার। ওকে এবারের কুরবানির ঈদে ছেড়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমার গরুকে প্রতিদিন আপেল, আঙ্গুরসহ চাল, ভুষি, ছোলা, খেসারি খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যন্ত আদর যত্ন করে পেলেছি। আমার বাংলার বাঘের আনুমানিক ওজন ১৯ থেকে ২০ মণ । আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্যমূল্যে গরুটিকে ছেড়ে দিতে চাই।
প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫ টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮ টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় গত বছর কোরবানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২ টি।

