Site icon Jamuna Television

ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে

কারখানায় কাজ করছেন পোষাক শ্রমিকেরা। ফাইল ছবি।

সারাদেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দফায় দফায় জারি করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। এর মধ্যেও চালু আছে তৈরী পোশাক খাতের উৎপাদন। এই অবস্থায় ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন এবং উৎসব ভাতা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে আটকে যেতে পারে এসব সুবিধা।

শ্রমিক সংগঠনের দাবি, সরকার এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে মালিকপক্ষ। তারপরও তারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে সেটি হবে দুঃখজনক। এদিকে ১৯ জুলাই বেতন-বোনাস পরিশোধের শেষ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিন বলেন, এখন জুলাই মাস আর জুন মাসের বেতন পরিশোধ করতে বলেছে ১৯ তারিখের মধ্যে এটা তো গ্রহণযোগ্য কথা হতে পারে না। আমরা ধারণা করছি গাজীপুরের কিছু জায়গার কারখানাগুলোতে সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক কারখানা করোনার দোহাই দিয়ে বলতে চাইছে আমরা এবারের ঈদের বোনাস দিতে পারবো না।

শিল্প পুলিশের তৈরী করা এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঈদের আগে বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংকটে পড়তে পারে পাঁচশর বেশি কারখানা। এর মধ্যে মে মাসের বেতন দিতে পারেনি অনেক কারখানা। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে জুন ও জুলাই মাসের বেতন এবং উৎসব ভাতা।

বিজিএমইর প্রথম সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, আমাদের সব কারখানাকে বলা হয়েছে ১৯ তারিখের মধ্যে সব বেতন ভাতা যা বকেয়া আছে তা পরিশোধ করে দিতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সমস্যা হতে পারে। গত ঈদেও এসব সমস্যা হয়েছিল সেগুলো আমরা সামাল দিতে পেরেছিলাম।

বেতন-বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে গাজীপুরের প্রায় আড়াইশ কারখানা। তারপর আছে আশুলিয়া এবং সাভারের নাম।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিন বলেন, সরকারের কাছ থেকে এবং বাইরের বিভিন্ন সংস্থা থেকে মালিকপক্ষ টাকা নিয়েছে। গার্মেন্টস খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসে, শ্রমিকদের দেখিয়ে যদি এতো জায়গা থেকে টাকা পাওয়া যায় তাহলে সেই টাকার অংশিদার শ্রমিকরা হবে না কেন?

অন্যদিকে বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমাদের পেমেন্ট পেতে কিছুটা দেরি হয়। তাই আমি মনে করি ব্যাংকে যারা আছেন তাদের একটা উদার মনোভাব থাকতে হবে।

বিজিএমইএ সদস্য বহির্ভূত কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও তৈরী হতে পারে জটিলতা।

/এসএন

Exit mobile version