
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।
প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে এবার ঈদেও বাড়ি ফিরতে পারছেন না নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর ও হাজরাখালী গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবার। তাদের একটাই দাবি, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে চান তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও ফল হয়নি। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীরা বলেন, হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জামিন পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষের ভয়ে প্রায় তিন বছর বাড়িতে যেতে পারছেন না তারা। স্থানীয় বাজারে ব্যবসাও করতে পারছেন না। বিগত ঈদগুলোতেও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা। এবার ঈদেও বাড়ি যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।
তাদের একটাই দাবি, এবার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে চান তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কালিয়া থানার ওসির সাথে মৌখিকভাবে আলোচনা করেও কোন ফল মেলেনি। তাই গতকাল (১৯ জুলাই) বিষ্ণুপুর এলাকায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহাসিনসহ আরও অনেকে।
হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বলেন, হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠান্ডা মোল্লাসহ তাদের লোকজনের বাঁধায় বাড়িঘরে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলি বেগম বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদসহ তার লোকজন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রতিপক্ষের মাতবর ঠাণ্ডা মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, উভয়পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে স্থানীয় এমপি মহোদয়কে নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি।
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply