Site icon Jamuna Television

জিম্বাবুয়েকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের ৯টিই ক্যাচ আউট। টাইগারদের খামখেয়ালী ব্যাটিং দেখে মনে হবে জিম্বাবুয়ে দলকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়েছে তারা।

হারারেতে সিরিজ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল ১৬৭ রান। বড় টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মুজারাবানির প্রথম ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন নাঈম। দলীয় ১৪ রানের মাথায় বোল্ড হন এই ওপেনার। এরপর থেকেই শুরু হয় টাইগারদের আসা যাওয়ার মিছিল। একে একে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান, কাজী নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ। এমনকি বাদ যায়নি দুই সিনিয়র খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

যদিও শেষদিকে হার এড়াতে আফিফ ও শামিম চেষ্টা করলেও সফল হয়নি তারা। অভিষিক্ত শামিম ১৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগার বাহিনীর। এরপর সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ১৯ রান শুধুই হারের ব্যবধান কমায়।

এর আগে হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৬ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও প্রথম ১০ ওভারে ৭৭ রান তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় ওপেনার ওয়েসলি মাধেভের। ৫৭ বল খেলে ৭৩ রান করেন তিনি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এরপর শেষ ১০ ওভারে আগ্রাসন বাড়িয়ে তোলে ৮৯ রান। তাতে বড় কৃতিত্ব শেষের ব্যাটসম্যান রায়ান বার্লের। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯ বলে করেন ৩৪ রান। ১৯তম ওভারে সাইফ উদ্দিনের ওভারে তুলে নেন ১৬ রান । শেষ ওভারেও তার ব্যাট থেকে আসে একটি ছক্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। আর সাকিব ও মিরাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। বাকি একটি ছিলো রানআউট। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের পক্ষে মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গুয়ে ৩টি করে এবং মুজারাবানি ও চাতারা ২টি করে উইকেট পায়।

উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে ১৫৩ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বর্তমানে ১-১ সমতায় আছে।

Exit mobile version