Site icon Jamuna Television

ফ্রি ফায়ার-পাবজি খেলা নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা

ফ্রি ফায়ার-পাবজি খেলা নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা ।

মোবাইল ফোনে ‘ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম’ খেলতে না পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ওড়না পেছিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সাবরিনা আক্তার শারমিন নামে ১০ শ্রেণির এক ছাত্রী। ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমকে দায়ী করে মেয়ের শোকস্তব্ধ পরিবার বলছে, এসব গেম যেন বন্ধ করা হয় এবং এভাবে যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।

বুধবার রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে শারমিনে মরদেহটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। এরপর সন্ধ্যায়
তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃত কিশোরীর পরিবার জানায়, মোবাইলে ‘ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম’ খেলার কারণে ঠিকমত পড়াশোনা না করায় শারমিনের মা শামীমা বেগম তার মেয়েকে ধমক দেন। এতে কষ্ট পেয়ে অভিমানে শারমিন ঘরের সিলিংয়ে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। কিছুক্ষণ পর পিতা লিয়াকত মিয়া তার মেয়েকে খোঁজ করতে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন শারমিনের পা ঝুলছে পরে ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন শারমিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

পরিবার ও স্থানীয়রা দাবি করছেন করোনা কালে এখন বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে থাকে র্স্মাটফোন। এই সুযোগে ‘ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম’ খেলায় ব্যস্ত থাকে তারা।

স্থানীয় মরাইল ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত খান জানান করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এসব মোবাইল গেমসে দিকে ঝুকঁছে শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল দেওয়া ও এর ব্যবহারের ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

Exit mobile version