Site icon Jamuna Television

টিকা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকা নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে এসে পৌঁছেছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এবার জাপান থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসেছে। টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, টিকা নিয়ে সংকট আর নেই। অন্য এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ২১ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছিল করোনার টিকাদান কর্মসূচি। ভারত থেকে কেনা ৭০ লাখ আর উপহারের ৩৩ লাখ মিলিয়ে মোট ১ কোটি তিন লাখ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছিল তখন। তারপর চুক্তি থাকলেও আর কোনো টিকা পায়নি বাংলাদেশ। ফলাফল হিসেবে, প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার দুই তিন মাস পেরুলেও দ্বিতীয় ডোজ পায়নি দেশের ১৪ লাখ মানুষ।

এ অবস্থায় কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ৩০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার প্রথম চালানে আসলো আড়াই লাখের মত, বাকিটা মাসখানেকের মধ্যে আসার কথা। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অনিশ্চয়তা কাটতে যাচ্ছে।

ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেন, আপনারা অনেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। জাপানের মানুষের পক্ষ থেকে এসব টিকা বাংলাদেশি বন্ধুদের এসব টিকা উপহার দেওয়া হলো।

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বুঝে পাওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা আছে। আশা করছি আগামী কয়েক মাস আমাদের টিকার অভাব হবে না। তবে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে টিকার উৎপাদন শুরু করতে হবে। তা না হলে আমাদের খরচ বেশি হবে।

অন্যদিকে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি টিকা আসবে। এভাবে চীন থেকে তিন কোটি, রাশিয়া থেকে সাত কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি টিকা চলে আসবে। এর মাধ্যমে দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হবে সরকার।

মন্ত্রী আরও বলেন, সংক্রমণ মোকাবিলায় টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বয়স্ক লোকেরা ঝুঁকিতে আছে তাদের আগে টিকা দিতে হবে। আবার ১৮ বছরের উর্ধ্বে যারা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে সংক্রমণের মুখে থেকে কাজ করছেন আমরা তাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।

Exit mobile version