Site icon Jamuna Television

মফস্বলের সাদামাটা জীবন পেরিয়ে প্রাসাদের পথে পেরুর হবু প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি

(বাম থেকে) পেরুর হবু ফার্স্ট লেডি লিলিয়া পারেদিস ও হবু প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো। ছবি: সংগৃহীত

মফস্বলের সাদামাটা জীবন থেকে সরাসরি রাজধানীর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ। এমনই নাটকীয় পরিবর্তন আসছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর হবু প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো ও হবু ফার্স্ট লেডি লিলিয়া পারেদিসের জীবনে।

বুধবার (২৮ জুলাই) পেদ্রো ক্যাস্তিলো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রাসাদে উঠবেন এ দম্পতি। কিন্তু, এখনও ক্ষেত-খামার সামলানো আর গরু চরানোতে ব্যস্ত হবু ফার্স্টলেডি। আলো ঝলমল প্রাসাদে গিয়েও মফস্বলের জীবন ভুলতে চান না তিনি। এখনও তিনি ব্যস্ত নিজ হাতে গৃহস্থালি সামলাতে। অ্যাঙ্গুইয়া এলাকার নিজ বাড়িতে শেষ মুহূর্তের গোছগাছ করছেন। প্রাসাদের বিলাসিতা নিয়ে খুব বেশি উচ্ছাস নেই তার।

পেরুর হবু ফার্স্ট লেডি লিলিয়া পারেদিস বলেন, আমরা খুবই সাধারণ মানুষ। প্রাসাদে না কোথায় থাকছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা তো আর রাজা নই যে প্রাসাদ উপভোগ করতে হবে। তাছাড়া সরকারি দায়িত্ব চিরস্থায়ী কিছু নয়। কিছুদিন পরই তো সেখান থেকে চলে আসতে হবে। তাই এই ঠিকানার কথাই সবসময় মাথায় রাখবো।

৬ জুনের নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ জটিলতার পর গত সপ্তাহে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ৫১ বছর বয়সী ক্যাস্তিলোকে। পেরুতে ৪ দশকের মধ্যে বামপন্থি এ নেতাই প্রথম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন যার রাজধানী লিমায় কোনো বাড়ি নেই। দেশের অন্যতম দরিদ্র জেলায় তাদের বসবাস। তাই, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাওয়ার পর দরিদ্রদের নিয়ে কাজ করতে চান হবু ফার্স্ট লেডি।

লিলিয়া পারেদিস আরও বলেন, দরিদ্রদের জন্যই আমরা কাজ করতে চাই। আগে কোনো প্রেসিডেন্ট যা করতে পারেননি, দরিদ্রদের জন্য তেমন কিছু করতে পারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাঙ্গুইতে একটি স্কুলে দীর্ঘ ২৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন পেরুর হবু প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো। মেয়াদ শেষে আবার দারিদ্রপীড়িত এলাকাটিতেই ফেরার পরিকল্পনা তাদের। মফস্বলের ছোট গির্জায় সাদামাটা আয়োজনে লিলিয়াকে বিদায়ও দিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

ক্যাস্তিলো-লিলিয়া দম্পতির দুই সন্তানই সরকারি স্কুলে পড়ে। রাজধানী লিমায় গিয়েও তাদের সরকারি স্কুলেই ভর্তির পরিকল্পনা তার। অভিজাত শ্রেণীর মানুষের ভরসা রাজধানীর বেসরকারি স্কুলেই।

Exit mobile version