Site icon Jamuna Television

ট্যানারি বর্জ্যে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিদেশি ক্রেতারা

খোলা জায়গায় ট্যানারির কঠিন বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

প্রায় চার বছর ধরে চালু হয়েছে সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরী। শুরু হয়েছে সকল কার্যক্রম। তবে, এ পর্যন্তও তৈরি করা হয়নি ‘ডাম্পিং ইয়ার্ড’। ফলে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে ট্যানারির কঠিন বর্জ্য। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এতে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশের চামড়া রফতানি।

সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরীর একটি বিশাল অংশ জুড়ে চোখে পড়বে ময়লার স্তুপ। যার বেশিরভাগটাই ট্যানারির কঠিন বর্জ্য।

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারি থেকে বের হওয়া বর্জ্য এভাবেই ফেলা হয় খোলা জায়গায়। যার একদিকে জনবসতি অন্যদিকে ধলেশ্বরী নদী, তার মধ্যেই ফেলা হচ্ছে ট্যানারির বর্জ্য।

সাভারে ট্যানারি শিল্প নগরীর ভেতর এভাবেই খোলা জায়গায় ফেলা হয় কঠিন বর্জ্য।

সাভারের শিল্প এলাকায় ট্যানারির উৎপাদন চালু হলেও তৈরি হয়নি ডাম্পিং ইয়ার্ড। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো উদ্যোগ না থাকায় এখানেই যে যার মতো ফেলছে বর্জ্য। গন্ধে ভারি হচ্ছে বাতাস। দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।

স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ব্যবস্থায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত না হওয়ায়, বিশ্ব বাজারে পিছিয়ে পড়ছে দেশের চামড়া। বলা হচ্ছে, চামড়া উৎপাদনে পরিবেশের ক্ষতি করছে বাংলাদেশ।

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, প্রতিদিন ৫০-১৬০ মেট্রিক টন বর্জ্য এখানকার এক একটি ট্যানারি থেকে বের হয়। ট্যানারি আছে ১৩২ টি। কিন্তু এখনো এসব বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায় ফেলার আমাদের কোনো ব্যবস্থা একেবারেই নেই।

পরিকল্পনা ছিল, উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে ট্যানারি থেকে সংগৃহীত বর্জ্য দিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। কিন্তু থমকে গেছে সেই উদ্যোগ।

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের এই কঠিন বর্জ্য নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে পারবো না ততদিন এই খাত এগুবে না। আমরা পরিবেশ ঠিক রেখে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করছি এই স্বীকৃতি যতদিন না পাবো ততদিন আমরা ভালো ক্রেতা পাবো না।

কবে নাগাদ পরিবেশ সম্মত চামড়া উৎপাদন হবে, তৈরি হবে ডাম্পিং ইয়ার্ড তা নিদিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউ।

/এস এন

Exit mobile version