Site icon Jamuna Television

পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবসে কর্মসূচি ছিল না হাওর জেলা কিশোরগঞ্জে

পানিতে ডুবে যাওয়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করছেন স্থানীয়রা।

খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে ডুবে মারা যায় কিশোরগঞ্জের দুই চাচাতো ভাইবোন। ঘটনা ২৫ জুলাইয়ের। কাকতলীয়ভাবে এই দিনটিকেই প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। কিশোরগঞ্জ জেলায় পানিতে ডুবে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। বর্ষায় হাওরে পানি বাড়লে, বেড়ে যায় মৃত্যুঝুঁকিও। অথচ, ‘আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনেও হাওর জেলাটিতে ছিল না কোনো আয়োজন।

বর্ষায় হাওরের বিস্তীর্ণ জলাভূমি সাঁতার না জানাদের জন্য হয়ে ওঠে মৃত্যু ফাঁদ। প্রায় প্রতিদিনই ঘটে দুর্ঘটনা। চলতি মাসে হাওর অধ্যুষিত জেলা কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে সাত শিশু ও দুই পর্যটকসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বছর তৃতীয় সবোর্চ্চসংখ্যক মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে এ জেলায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন দিবসে পানিতে ডুবে মৃত্যু কমাতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান, মৃত্যুহার কমাতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

মানবাধিকার কর্মী, অ্যাডভোকেট মায়া রাণী ভৌমিক বলেন, প্রশাসন চাইলে পানিতে ডোবা বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে পারে। সচেতনতাই মুখ্য বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষদের ছোটবেলা থেকেই পরিবার উদ্যোগী হয়ে সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করলে এই মৃত্যুহার কমে আসবে।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিএডি মোবারক আলী বলেন, আমাদের কিশোরগঞ্জ ইউনিট এক বছরে ২০-২১ টি পানিতে ডোবা ও নৌ দুর্ঘটনার উদ্ধার কাছে অংশ নিয়েছে যেগুলোর বেশিরভাগ অভিযানেই আমরা সফল হয়েছি। আমাদের বহরে সোনার যুক্ত হলে আমাদের কাজ আরও সহজ হবে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এই দিবসটি এই জেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূররণ। সরকার নির্দেশনাক দিলে আমরা অবশ্যই এই দিবসে কর্মসূচি পালন করবো।

/এস এন

Exit mobile version