Site icon Jamuna Television

দর্শক ও পর্যটক শূন্য অলিম্পিকে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

পর্যটক শূন্য টোকিও শহরের দোকানপাট।

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমস আয়োজনে কোটি কোটি ডলার খরচ করতে মুখিয়ে থাকে বিভিন্ন শহর। কারণ গেমসকে কেন্দ্র করে আসা দর্শকদের সমাগমেই সচল হয় আয়োজক দেশটির অর্থনীতির চাকা। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে টোকিওতে নেই কোন দর্শক আর পর্যটক। এতে ক্ষতির মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বরাবরের মতো এবারের অলিম্পিকের আসরে অংশ নিচ্ছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ক্রীড়াবিদ। তবে নেই কোনো দর্শক ও পর্যটক। এতে হতাশ হয়ে ইতোমধ্যে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেললেও দেশের নামের কথা ভেবে এর সফল সমাপ্তি চাইছেন টোকিওবাসী। অন্যদিকে, বুধবার (২৮ জুলাই) শহরটিতে একদিনে সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে।

যার বেশ ভালোই প্রভাব পড়েছে শহরটিতে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবসাগুলো এরই মধ্যে গুটিয়ে ফেলেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি টোকিওতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ডও হয়েছে বুধবার।

হিসাও সোমা নামে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। মাঝে কিছুটা সংক্রমণ কমে আসলেও, এখন আবার বেড়ে গেছে। অলিম্পিকের কারণে অনেকেই এখন বের হচ্ছে সময়টাকে কাজে লাগাতে। কিন্তু ব্যবসা তো হচ্ছেই না, উল্টো ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে।

পোশাক শ্রমিক ওতোহাশি ইয়াসাকি জানান, কোন বেচা কেনা নেই। তবে রাতে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে খেলা উপভোগ করতে রাতে বারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা।

গেমস শুরু হবার পর এখন আর ব্যবসার দিকে না তাকিয়ে টোকিওবাসী চাইছে যত দ্রুত এবং ভালোভাবে সম্ভব গেমসটি শেষ হোক। তবে এমন গেমসের অভিজ্ঞতা ক্রীড়াবিদদের জন্য যেমন ভিন্ন তেমনি আয়োজক হিসেবে টোকিওবাসীর জন্যও বেদনাদায়ক বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

কিয়োকা তাকাইয়ানাগি নামের এক শিক্ষক জানান, এমন সময়ে গেমস আয়োজন করাটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যেরই। এই করোনার মাঝে যদি অলিম্পিক না হতো তাহলে টোকিও তার সেরাটা দিয়ে সবাইকে স্বাগত জানাতো। যেহেতু শুরু হয়ে গেছে আমরাই চাইছি সফলভাবেই শেষ হোক।

উল্লেখ্য, জাপানে বুধবার সর্বোচ্চ ৭৬৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে, যেখানে টোকিওতেই সংখ্যাটি ছিলো ৩১৭৭ জন।

Exit mobile version