Site icon Jamuna Television

পেটের দায়ে ফিরেছে শ্রমিক, ঘুরছে সেলাই মেশিন

হঠাৎ করেই পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় পেটের দায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবর্ণনীয় ভোগান্তির মধ্য দিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছে শ্রমিকরা। শুরু হয়েছে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের উৎপাদন ।

রোববার (১ আগস্ট) ঈদুল আজহার পর উৎপাদন শুরুর প্রথম দিনে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিজিএমইএ’র ঠিক করে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানাগুলোতে নিশ্চিত করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম।

৩০ জুলাই (শুক্রবার) হঠাৎ করেই ঘোষণা আসে, চালু হচ্ছে রফতানিমুখী শিল্পের উৎপাদন। তাই কর্মস্থলে উপস্থিত হতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে শ্রমিক। সকালে পোশাক কারখানাগুলোর সামনে দেখা যায় চিরচেনা শ্রমিকদের জটলা। সেখানে বিজিএমইএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থায় ছিল কড়াকড়ি। তাপমাত্রা মেপে শ্রমিকদের প্রবেশ করানো হয়েছে কারখানায়।

শ্রমিক স্বল্পতার শঙ্কা থাকলেও বেশিরভাগ কারখানাতেই ঘুরেছে সেলাই যন্ত্র। বলা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জনবল নিয়েই শুরু করা হয়েছে উৎপাদন। আসন্ন শীত এবং বড়দিন সামনে রেখে পোশাক বিদেশে পাঠানোর তাড়ায় থাকা কারখানাগুলোতে সেই পুরনো উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা।

ওয়েমার্ট অ্যাপারেলসের এমডি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্রমিকরা যারা নিজেরা আসতে পেরেছে তাদের নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। না আসলে চাকরি চলে যাবে এমন কোনো চাপ আমাদের ম্যানেজম্যান্টের তরফ থেকে ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ শুরু করেছি।

রাজধানীর বাইরে, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য শিল্প এলাকাতেও ছিল কর্মচাঞ্চল্য। কারখানায় ঢোকার মুখে প্রায় প্রতি কারখানাতেই ছিল সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।

বিজিএমইএ’র নেতাদের দাবি, ক্রেতাদের চাপে কারখানা চালু করা ছাড়া বিকল্প ছিল না। তবে, সুরক্ষা নিশ্চিত করেই হচ্ছে উৎপাদন।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, এর আগের লকডাউনেও আমাদের কাজ চলেছে। এখানে পুরো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ হয়। আমাদের সেক্টরে এর আগেও করোনার মাঝে কাজ হয়েছে, কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ হয়নি।

চলতি অর্থবছরে পোশাক খাত থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলার রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন করে কারখানা বন্ধ না করা হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।

/এসএন

Exit mobile version