Site icon Jamuna Television

যুগ্ম কমিশনার হারুনের ‘রাতের রানি’ শব্দ প্রয়োগে আপত্তি জানালেন তার শিক্ষক সাদেকা হালিম

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আজকের দিনে উচ্চবিত্তদের ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন, ইয়াবা আসক্ত হচ্ছেন। তথাকথিত সুন্দরীরা মানুষকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। তিনি বলেন, তারা ‘রাতের রানি’, তারা যখন কোনো সম্মানিত ব্যক্তি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা অন্যকাউকে কোনো কিছু ‘অফার’ করেন, মানুষ আকৃষ্ট হয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাছে যেতে পারেন; তখন এসব মেয়েরা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করেন।

সোমবার (২ আগস্ট) রাতে যমুনা টেলিভিশনের নিয়মিত টকশো ‘আমজনতা’য় অংশ নিয়ে তিনি এমন কথা বলেন।

তবে তার শব্দচয়নের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে তারই বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘রাতের রানি’ কেউ ইচ্ছা করে হন না। সমাজে সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ডের একটা ব্যাপার রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বড়বড় শহরেও দেখা যাবে এমন চিত্র। সাদেকা হালিম বলেন, জনাব হারুন অর রশীদ অত্যন্ত ‘জাজমেন্টাল’ হয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছেন। তিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানে পড়তেন, আমি সেখানে পড়াই। তিনি সমাজবিজ্ঞানের জায়গা থেকে সরে গিয়ে কথাগুলো বলেছেন।

হারুন অর রশীদ এ পর্যায়ে মন্তব্য করেন, একজন রূপের মোহ দিয়ে সমাজের কিছু মানুষকে নষ্ট করছে, আর তাকে গ্রেফতার করলে আপনারা বলবেন, তাকে ‘রাতের রানি’ কেন বললেন, এটা ঠিক নয়। তিনি যুক্ত করেন, পিয়াসাকে গ্রেফতারের পর তার বাসায় রেইড করে মদের বার, সীসার লাউঞ্জসহ মাদকের বড় আখড়া পাওয়া গেছে।

তবে কেউ ডাকলেই কেউ কারো বাসায় মদপান করতে যায় না বলে মন্তব্য করেন সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, তার নিজেরও তাতে সম্মতি ও সমর্থন থাকতে হয়। পুলিশ কর্মকর্তা সে কথাটি কেন উল্লেখ করছেন না, জানতে চান সাদেকা হালিম। অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়া অপর দুই আলোচক সাংবাদিক জুলহাস আলম ও অভিনেতা শহিদুল আলম সাচ্চুও শব্দচয়নের ব্যপারে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

হারুনুর রশীদ দাবি করেন, তিনি সব মেয়েকে ‘রাতের রানি’ বলেননি। যে মেয়েটি একা বড় বাসায় মদের বার চালায়, মানুষকে বাসায় ডেকে নিয়ে মদের ব্যবসা করে, তাদের ব্যাপারে অভিযোগ তোলা যায়।

তিনি বলেন, যারা এসব অপরাধীদের পেছনে রয়েছে তাদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পিয়াসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজন গডফাদারের নাম পাওয়া গেছে। পিয়াসাকে রিমান্ডে নেয়ার পর আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। ধীরে ধীরে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

Exit mobile version