Site icon Jamuna Television

কক্সবাজারে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন

কক্সবাজারে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।

অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসছে কক্সবাজারের বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। বেহাল রাস্তা ঘাট, ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের, ডুবেছে ফসলি জমি। কক্সবাজার জেলার ৫১ টি ইউনিয়নের ৫২৫ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। পানি নেমে যাওয়ার পরও দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের।

মাতামুহুরি ও বাকখালী নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়েছে আশপাশের অনেক বসতবাড়ি, ঝুঁকিতে পড়েছে বেড়িবাঁধ। ঘর হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। রামু উপজেলায় অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় আশ্রয়হীন হয়েছে অনেকে বাসিন্দা।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ভূট্টো জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় পুরো মিঠাছড়ি ইউনিয়নে জুড়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে।

স্লুইসগেট বন্ধ থাকায় এবং দুর্বল বেড়িবাঁধ ও মাতামুহুরি নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙনের কারণে চকরিয়ার ৭ টি ইউনিয়ন বেশি প্লাবিত হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

অন্যদিকে, স্লুইসগেট খোলা থাকলে এলাকায় পানি প্রবেশ করতো না বলে জানান পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, এবারের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বসতভিটা হারানোদের সরকারী সহায়তা দিয়ে তাদের অনতিবিলম্বে পুনর্বাসন করা হবে।

জোয়ারের পানির আঘাতে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধটিও।

Exit mobile version