Site icon Jamuna Television

মেহেরপুরে এক ইউনিয়নে করোনা উপসর্গে এক মাসে প্রায় ৫০ মৃত্যু

মেহেরপুরের গ্রামাঞ্চলেও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।

মেহেরপুরের গ্রামাঞ্চলেও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এক মাসে সেখানে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন প্রায় ৫০ জন। যদিও সিভিল সার্জনের দাবি, মৃতদের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা মারা গেছেন নানা রোগে ভুগে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামের কবরস্থানে গেল একমাসে দাফন হয়েছে ২২ মরদেহ। অল্প সময়ের ব্যবধানে এতো মৃত্যু আগে কখনও দেখেনি গ্রামবাসী।

শুধু গাড়াডোব গ্রামই নয়, ধানখোলা ইউনিয়নজুড়েই মৃত্যুর মিছিল। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হিসেবে একমাসে এই ইউনিয়নে মারা গেছেন ৫০ জনেরও বেশি। যাদের অধিকাংশই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

ধানখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখেরউজ্জামান বলেন, গেল এক মাসে প্রায় ৫২-৫৩ জন লোক মারা গেছে। তাদের কেউ কেউ করোনা পজেটিভ ছিলেন বাকিদের সবারই করোনা উপসর্গ ছিল। কারো জ্বর, কারো শ্বাসকষ্ট ছিল।

শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরের এই ধানখোলা ইউনিয়নে ঘরে ঘরে জ্বর-শ্বাসকষ্টের রোগী থাকলেও, করোনা পরীক্ষায় অনীহা তাদের। ভিড় বেড়েছে এলাকার ফার্মেসিগুলোয়। করোনা রোগী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষ তাদের ঘৃণার চোখে দেখে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়েও অনেকে পরীক্ষা করাতে চান না।

ধানখোলা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুরের সিভিল সার্জন। তার দাবি, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫ জন করোনা পজেটিভ ছিলেন। বাকীরা নানা রোগে ভুগছিলেন।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন বলেন, এক গ্রামে যেখানে ২১ জন মারা যাওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আমরা দেখেছি ৪ জন করোনা পজেটিভ ছিল। একজনের করোনা উপসর্গ ছিল। বাকি যারা মারা গেছে তাদের কেউ স্ট্রোক বা অন্য রোগে মারা গেছেন। আবার দুর্ঘটনা বা বিষ খেয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরাও এর ভেতরে আছেন।

গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও জানান সিভিল সার্জন।

/এস এন

Exit mobile version