Site icon Jamuna Television

পোশাক কারখানায় উপস্থিত প্রায় শতভাগ শ্রমিক

প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় শুরু হয়েছে উৎপাদন।

বিশ্ব বাজারে এখন চাহিদা তুঙ্গে, তাই বিধিনিষেধের মধ্যেই জোরেশোরে শুরু হয়েছে পোশাক উৎপাদন। রাস্তায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ উপেক্ষা করে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছে প্রায় শতভাগ শ্রমিক।

প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় শুরু হয়েছে উৎপাদন। সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে কারখানায় প্রবেশ করছে শ্রমিক। কাজের সময় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক। শ্রমিক নেতারা বলছেন, করোনা সংক্রমণে কোন শ্রমিক অসুস্থ হলে মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে ১৫টি টিম গঠন করেছে বিজিএমইএ।

১ আগস্ট কারখানা খোলার পর, প্রথম দিন কাজে যোগ দেয় সর্বোচ্চ ৭০ ভাগ শ্রমিক। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই পালটে যায় চিত্র। শিল্প পুলিশের দেয়া তথ্যে দেখা যায়, ওইদিন চালু হয় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি কারখানা। খোলা কারখানার সংখ্যা ছিল ৮১ ভাগ। তৃতীয় দিনে শুরু হয় ৯০ ভাগ কারখানার উৎপাদন। তবে সুরক্ষার দিকটি গুরুত্ব দিচ্ছে সবাই।

গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের এখানে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় প্রবেশ করছে। তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, স্প্রে করা হচ্ছে।

গার্মেন্টস উদ্যোক্তা আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বিদেশে যে বাজার সেখানে আমাদের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনা যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি তবে দেশের অর্থনীতিতে পোশাক খাতের যে অবদান সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চাপ দিয়ে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়ে আসার কোনো প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় শ্রম মন্ত্রণালয়। তবে বিজিএমইএ বলছে, নিজ উদ্যোগেই কর্মক্ষেত্রে এসেছে লাখ লাখ শ্রমিক।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহীদুউল্লাহ আজিম বলেন, যারা কাজ করেন তারা কেউ বসে থাকতে চান না। নিজের ইচ্ছাতেই তারা এসেছে। চাপ দিয়ে কাউকে আনা হয়নি।

বিশ্ব বাজারে পোশাকের যে চাহিদা, তার যোগান দিতে এই খাতে বাড়তি শ্রমিকের প্রয়োজন বলেও জানায় বিজিএমইএ।

/এস এন

Exit mobile version