৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল- পরিসংখ্যানটি এমনই অবিশ্বাস্য রকমের মোহনীয়, সংখ্যার কী সাধ্য এ সম্পর্ককে প্রকাশ করে! টিস্যু পেপারে তড়িঘড়ি স্বাক্ষর করে শুরু হয়েছিল যে পথচলা, তা আজ থেমে গেল। থেমে গিয়েছিল আসলে গত ৩০ জুন। আর আজ জানা গেল, ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার জার্সিতে আর কখনোই দেখা যাবে না ক্লাবটির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি লিওনেল মেসিকে।
অসংখ্য অবিশ্বাস্য মুহূর্তের নামই যেখানে হয়ে গেছে মেসি মোমেন্ট, সেই ন্যু ক্যাম্পে আর কাতালানদের একজন হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নামবেন না মেসি, মাঠের ডানপ্রান্ত ধরে বিপক্ষের একের পথ খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে ছুটে আসবেন না এলএমটেন। ২০ বছরের সম্পর্কে পড়ে গেল অমোচনীয় এক যতি চিহ্ন। ছবিতে দেখা যাক বার্সায় মেসির দিগবিজয়ী বেড়ে ওঠার কিছু মেসি মোমেন্ট।
বার্সায় এসেছেন মেসি।লা মাসিয়ায় বয়সভিত্তিক দলে খেলেই মেসি পেয়ে গেছেন ওয়ান্ডার কিডের তকমা গোলদাতা চড়েছেন অ্যাসিস্ট প্রোভাইডারের কাঁধে। যার হাত থেকে নিয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের অলিখিত ব্যাটন, সেই রোনালদিনহোর কাঁধে চেপে মেসির উল্লাস, মূল দলের হয়ে প্রথম গোলের পর। বার্সার হয়ে প্রথম ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিকের দিন এটি। হ্যাটট্রিকটা ছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। বার্সার হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর মেসি।ট্রেবল জয়ের সেই মৌসুম।২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে, মাদ্রিদের চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে মেসির গোল, রে হাডসনের বিখ্যাত ‘ওয়ান্ডারফুল ওয়ান্ডারফুল ওয়ান্ডারফুল’ মোমেন্টআরও একটি ব্যালন ডি ওর জয়ের পর মেসি।সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করে দেয়া মেসি মোমেন্ট, তার নীরব ঘোষণা; দেখো, আমিই এলএমটেনপিএসজির বিরুদ্ধে কামব্যাকের ইতিহাস গড়ার রাতে।
Leave a reply