Site icon Jamuna Television

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৯৪ তালেবান নিহত

আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে সাম্প্রতিক অভিযানে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৯৪ তালেবান সদস্যের। শুক্রবার (৬ আগস্ট) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।

আগস্টের শুরু থেকেই হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহর নিয়ন্ত্রণ ঘিরে তালেবান-আফগান বাহিনীর মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। সীমান্তের গ্রামগুলো কব্জায় নিতে পারলেও বড় শহরগুলোতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না তালেবান।

এরইমাঝে শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দিলো সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হতাহতের খবর। তারা জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে তালেবান। হেরাত ও কান্দাহারের দখল নিয়েও তাদের নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল আসাদুল্লাহ খালিদ বলছেন, কয়েকদিনের অভিযানে শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা পেছাতে বাধ্য হয়েছে তালেবান। কারণ, তাদের ৯০ জনের বেশি সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, যে তালিকায় রয়েছেন ইউনিট কমান্ডার মৌলভী মুবারকও। তাছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার মুখে ১৬ জনের আহতের খবরও জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যাশা করছেন, খুব শীঘ্রই হেলমান্দে প্রতিষ্ঠিত হবে আফগান বাহিনীর বিজয়।

আর হেরাতের সাবেক গর্ভনর মোহাম্মদ ইসমাইল খানের বক্তব্য, তালেবানের আগ্রাসন ঠেকাতে তৎপর হেরাতবাসী। নিরাপত্তা বাহিনী, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের পাশাপাশি সাধারণ জনতাও নেমেছে লড়াইয়ে। এই প্রদেশ দখল করতে চাইলে নতুনভাবে ছক কষতে হবে তালেবানকে। তবে তিনি বলেন, এটাও ঠিক, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মতো পাকিস্তানের ছড়ি ঘোরানোও মানবো না আমরা।

দেশের এ পরিস্থিতিতে, আন্তঃকোন্দল একপাশে রেখে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট।

আর দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশার্ল আবদুল রশিদ দোস্তুম জানিয়েছেন, ছোট্ট নয় বরং বিশাল ষড়যন্ত্রের শিকার আফগানিস্তান। সেখানে তালেবান শুধু দাবার গুটি। তাই, সাম্প্রদায়িক দলাদলি বাদ দিয়ে, জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময় এখন। রাজনৈতিক মিত্র এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে লড়াইয়ে নামাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ।

বৃহস্পতিবারই কান্দাহার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫ দিনের লড়াইয়ে আহত তিন শতাধিক। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু। এছাড়া, ৩৩ জনের প্রাণহানির খবরও নিশ্চিত করেছে সংঘাতপূর্ণ এলাকার হাসপাতালগুলো।

Exit mobile version