Site icon Jamuna Television

রাজশাহীতে টিকার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালালেন দুই বৃদ্ধা

টিকা কেন্দ্রে রীতিমত জোর করে আনা হয়েছে বাকপ্রতিবন্ধী প্রবীণ সফুরা ও সাজেদা খাতুনকে।

পুঠিয়ার শিবপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্রে রীতিমত জোর করে আনা হয়েছে বাকপ্রতিবন্ধী প্রবীণ সফুরা ও সাজেদা খাতুনকে। টিকা নেবেন না বলে তারা পালিয়েছিলেন এলাকা থেকে। কেউ তাদের টিকা নিয়ে ভুল বুঝিয়েছে। বলেছে, শরীরে তৈরি হতে পারে জটিলতা। তাই টিকা না দিতে তাদের কাকুতি-মিনতি।

পরে অবশ্য তাদের দেখভালকারী প্রতিবেশী মানিক রহমান ঝক্কি ঝামেলা পার করে তাদের খুঁজে এনে টিকা নিশ্চিত করেছেন। এমনকি আসার পথে চলন্ত ভ্যান থেকে নেমে পড়ার চেষ্টাও করেন সাজেদা। এতে মাথায়ও আঘাত লাগে তার।

মানিক রহমান জানান, কাল রাত থেকে বলছে টিকা নিলে মরে যাবো। ওদেরকে বুঝিয়েছি। কিন্তু বোঝেনি। সকালে দুইজনই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে তাদেরকে খুঁজে বের করে যখন গাড়িতে তুলেছি তখন আবার একজন গাড়ি থেকে লাফ দিয়েছে। শেষমেশ উনাকে গামছা দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসতে হয়েছে।

উপস্থিত অনেকেই দুইজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এতে কিছুটা আশ্বস্ত হন তারা। পরবর্তীতে যখন তারা দেখেন, আশেপাশের বয়স্করাও টিকা নিচ্ছে তখন তারাও রাজি হন।

বানেশ্বর ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক জানান, আমরা ভাতাভোগীদেরকে আগে টিকা দিচ্ছি। কিন্তু উনারা টিকা নিবেন না। পরে অনেক বুঝিয়ে তাদেরকে রাজি করানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রামে গ্রামে করোনা টিকা নিতে আগের তুলনায় বেড়েছে আগ্রহ। তবে কিছু গুজব এখনও আছে।

রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু, এই টিকা নিয়ে যারা অপপ্রচার করছেন তারা ভুল পথে আছেন। এসময় তিনি সকলকে আহ্বান জানান যেন সকলে টিকা নিয়ে করোনাকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসে।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে, রাজশাহীর ৯ উপজেলায় পরীক্ষামূলক গণটিকাদান কর্মসূচিতে ৫০ হাজারেরও বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version