Site icon Jamuna Television

সিরিজ জুড়ে অধারাবাহিক বাংলাদেশের ব্যাটিং

সিরিজ জুড়েই ধারাবাহিকতার অভাব ছিল টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফরমেন্স মন জয় করেছে সবার। তবে পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাটিং ভুগিয়েছে টাইগারদের। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে অধারাবাহিক ছিলেন অধিকাংশ ব্যাটসম্যান। চতুর্থ ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বলেছেন আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিৎ ছিল ব্যাটসম্যানদের।

অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার সিরিজ হারিয়ে ক্রিকেটারদের মাঝে আনন্দের মাত্রাটা ছিল এবার একটু বেশি। তবে সাফল্যের আড়ালে ঢাকা পড়েছে বড় এক সমস্যা। চতুর্থ ম্যাচে এসে বাংলাদেশ হারে প্রথমবারের মতো, প্রকট হয়ে সামনে আসে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা।

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, আমরা চতুর্থ ম্যাচে ১০-১৫ রান কম করে ফেলেছি। তবে বোলাররা দারুণ করেছে। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের উচিৎ ছিল আরও সচেতনভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা।

ব্যাটসম্যানদের অধারাবাহিকতার কথা বলছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

চার ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৭ উইকেটে ১৩১। এছাড়াও বাকি তিন ম্যাচে স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ১২৭, ১২৩ ও ১০৪। কন্ডিশন ও উইকেটের বিবেচনায় স্কোরগুলো খুবটা খারাপ না হলেও ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

রানের বিচারে সবচেয়ে সফল সাকিব আল হাসান। কিন্তু তার গড়ও খুব বেশি নয়, ২৫.৭৫। সর্বাধিক ৩৩ গড়ে রান করেছেন আফিফ হোসেন। তবে দলের আর কোনো ব্যাটসম্যানের গড়ই নেই ২০ এর ঊর্ধ্বে।

এই যেমন তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করা অধিনায়ক রিয়াদ প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২০ রান। কিন্তু বাকি দুই ম্যাচেই ডাক মেরেছেন রিয়াদ।

টাইগারদের দুই নবীন নাইম শেখ ও নুরুল হাসান সোহান বিচ্ছিন্নভাবে ভালো করলেও ছিলেন অধারাবাহিক। তবে সৌম্য সরকার ও শামীম পাটোয়ারী সিরিজের চার ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও মানছেন ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবের কথা।

তবে ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানরা সাফল্য পাবেন, এমন আশা করছে সবাই। কারণ বোলিং ডিপার্টমেন্টকে লড়াইয়ের সুযোগ যে তাদেরই দিতে হবে।

Exit mobile version