Site icon Jamuna Television

তুরস্কের দাবানল নিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত!

তুরুস্কে দাবানল জ্বলছে। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কে দশ দিন আগে শুরু হওয়া দাবানল এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

তুরস্কের ৪০টি প্রদেশের জঙ্গলের আগুন জ্বলছে। দেশের প্রায় অর্ধেক প্রদেশে কোনো না কোনো জায়গায় বনে আগুন লেগেছে এই ১০-১১ দিনে।

আগুন নেভাতে তুরস্কের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ছুটে গেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে দমকল বাহিনী, গাড়ি, বিমান, হেলিকপ্টার। সবার আগে এগিয়ে আসে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। আগুন নেভানোর বিমান এবং হেলিকপ্টার পাঠায় তারা। পরে আসে আজারবাইজান।

আজারবাইজান বিশাল এক দমকল বাহিনীর বহর পাঠায় তুরস্কে। সবচেয়ে বেশি সহয়তা আসে আজারবাইজান থেকে। কারণ গতবছরের নাগরনো কারাবাখ যুদ্ধে তুরস্কের সহয়তা তাদের মনে আছে।

এরপরে আসে কাতার ইরান বিভিন্ন সরঞ্জাম, বিমান ও হেলিকপ্টার পাঠায়। ইউরোপ থেকে স্পেন এবং ক্রোয়েশিয়াও পাঠায় বিমান। ইসরায়েল থেকেও দু’টি বিমান আসে আগুন নেভাতে।

ইউরোপের সঙ্গে একটু সমস্যা হয় তুরস্কের। অনেক ইউরোপীয় দেশ প্রথমে সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে পরে সাহায্য পাঠায়নি। ফ্রান্স, জার্মানি, এবং গ্রীস। কিন্তু সেটা আবার এরকমভাবে খবরে আসে যে তুরস্ক ওইসব দেশের সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছে।

কিন্তু তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই সব খবর সঠিক না। কারণ তুরস্ক এই দুর্যোগে কারো সঙ্গে শত্রুতা পোষণ বা দম্ভ করবে না। আগুন নেভাতে সবার কাছ থেকেই সহযোগিতা নিতে প্রস্তুত দেশটি। তবে তুরস্কের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আর্থিক সাহায্যের দরকার নেই।

তবে, একটা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত তুরস্ককে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক একটা ক্যাম্পেইন চালু করেছে।

‘হেল্পতুর্কী’ নামক এই ক্যাম্পেইনে কৌশলে এমনভাবে তুরস্ককে এবং সরকারকে আক্রমণ করে প্রচার করছে, তুরস্কের আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি কেনার টাকা নেই, তুরস্ক অর্থনৈতিক ভাবে শেষ হয়ে গেছে, এই সরকার তুরস্ককে নিঃশেষ করে দিয়েছে। এরা দেশ চালাতে পারছে না। তাই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার!

ধারণা করা হচ্ছে, এটা পুরোপুরি ফেতুল্লাহ গুলেন সমর্থিত গ্রুপের পরিচালিত এরদোয়ান বিরোধী ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছে দেশটির বিরোধী দল এবং কিছু জাতীয় আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, সুশীল সমাজ।

এরদোয়ানের পদত্যাগের ডাক দিয়েও টুইটারে ক্যাম্পেইন চালানো হয়। যদিও অনেকে এসব ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই বিরোধী গ্রুপটি দেশে বিদেশে অনেক শক্তিশালী। তারা এই সুযোগে দাবানল মোকাবেলার পরিবর্তে এরদোয়ানের পতনের ডাক দিয়েছে।

Exit mobile version