Site icon Jamuna Television

আবারও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ না করেই দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজ

দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত মজুদ না থাকলেও চলছে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন। ফলে আবারও অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে সিনোফার্মের টিকা গ্রহীতারা। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি ভ্যাকসিন আসার তথ্য নিশ্চিত জেনেই প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের দ্বারে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া প্রশংসনীয় তবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি স্পষ্ট।

মহামারি ঠেকাতে ভ্যাকসিন নেয়ার উৎসব দেশজুড়ে। গ্রামে গঞ্জে ভ্যাকসিন বুথে পঁচিশোর্ধ্ব মানুষের লম্বা লাইন। ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩০ লাখ, আর দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৮ লাখ।

সব মিলে প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। আর তাতেই শঙ্কা দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে। নতুন করে প্রথম ডোজ না দিলেও দরকার মোট তিন কোটি ডোজ। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত এসেছে আড়াই কোটির কিছু বেশি ডোজ ভ্যাকসিন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, পরিকল্পনায় যদি অতিসরলীকরণ বা সস্তা জনপ্রিয়তা প্রাধান্য পায়, তাহলেই এমনটি ঘটে। তিনি বলেন, সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেয়া উচিত, যাতে হাসপাতালে ভর্তির হার কমে।

অক্সফোর্ডের প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ। ফাইজারের ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে এক লাখ। প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার মানুষকে। উপহারে মর্ডানা মিলেছে ৫৫ লাখ। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১৭ লাখ। তবে মজুদ ও প্রয়োজনের অসঙ্গতি সিনোফার্মের বেলায়। পাওয়া গেছে ৮১ লাখ কিন্তু এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ। কিন্তু এখনো হাতে আসেনি দ্বিতীয় ডোজের সিনোফার্ম।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এমনভাবে পরিকল্পনা করা উচিত, যেন যারা প্রথম ডোজ পেয়েছে তারা ওই একই টিকা দ্বিতীয় ডোজেও পান। কারণ, অনেক সময় একই টিকা নাও পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, এখনও ব্যবস্থাপনার কিছু ঘাটতি আছে। তার মধ্যে একটি হলো, একটি এলাকায় কত লোক টিকা পাবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম জানান, আগামী তিন দিনে সিনোফার্মের বড় তিনটি চালান দেশে আসবে, যা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া মডার্নাসহ অন্যান্য টিকাগুলো ঝুঁকি না নিয়ে অর্ধেক করেই দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। কথা থাকলেও আসেনি সেরামের ভ্যাকসিন।

Exit mobile version