Site icon Jamuna Television

‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ ফোরকানসহ নব্য জেএমবির তিন সদস্য গ্রেফতার

শার্ট পরিহিত (মাঝে) ফোরকান, গেঞ্জি পরিহিত (বামে) ফাহাদ, কালো গেঞ্জি পরিহিত (ডানে) মারুফ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান প্রশিক্ষক ও বোমা বিশেষজ্ঞ ফোরকানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ফোরকান সাংগঠনিক বিস্তৃতির জন্য কয়েকবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।

গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. জাহিদ হাসান রাজু ওরফে ফোরকান, সাইফুল ইসলাম মারুফ, বাসিরা ও মো. রুম্মান হোসেন ফাহান। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক পদার্থ, ঢাকনাযুক্ত জিআই পাইপ, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, লোহার বল, সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন ও ১টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মো. জাহিদ হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং হিজরত করায় সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেনি। ২০১৬ সে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য জেএমবির তৎকালীন আমির মুসার হাত ধরে এই সংগঠনে যোগদান করে। আমির মুসার সাথে কাজ করার সুবাদে সংগঠনের ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের নজরে আসে এবং তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে কাজ করে।

রসায়নে পরদর্শী হওয়ার কারণে তার মেধা এবং সাহসের জন্য তাকে এই সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রসায়নের ছাত্র হওয়ার সুবাদে সে অল্পদিনে গ্রেনেড ও বোমা বানানোর অত্যন্ত দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নতুন কৌশলে আইইডি প্রস্তুত করে।

সংগঠনটির কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার মিটিং করে। সর্বশেষ সে ড্রোন বানানোর পরীকল্পনা করেছিল।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়েছে।

Exit mobile version