কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে ফোনে ২টি ক্ষুদে বার্তা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই বার্তায় বিভ্রান্তিতে পড়েছেন কোভিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ গ্রহীতারা।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টিকার ১ম ডোজ গ্রহণ করেন ১১৪ জন। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ পড়ে। ১৩ আগস্টের মধ্যে তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা থাকলেও ওই দিন কোনো টিকা গ্রহীতার ম্যাসেজ আসেনি। ফলে ১৪ আগস্ট ২য় ডোজের টিকা নেয়া হয়নি অনেকের।
কিন্ত হঠাৎ করেই সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারো কারো ফোনে পরপর ২টি ক্ষুদে বার্তা আসে। একটিতে ওই দিনই তাদের ২য় ডোজ নিতে বলা হয়। আর অন্যটিতে জানানো হয় ‘আপনার ২টি ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে’। অথচ তারা টিকাই নেননি। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে এমন দুটি মেসেজ পেয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ম্যাসেজ পাওয়া একজন, শ্রাবনী দে জানান, ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া ব্যাক্তিরা ম্যাসেজ দেখাতে না পারলে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই গত ১৪ আগস্ট ২য় ডোজ গ্রহণের কথা থাকলেও মেসেজ না পাওয়ায় যেতে পারেননি তিনি। অথচ সেই ম্যাসেজ এসেছে ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিটে। শ্রাবণী বলেন, তার ৫ মিনিট পর ৭ টা ৩০ মিনিটে ম্যাসেজ আসে আমার ২য় ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অথচ আমি তো ২য় ডোজ গ্রহণই করলাম না!
ভুক্তভোগী আরেকজন শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল কুদ্দুস চঞ্চলও দ্বিতীয় ডোজ টিকা না নিয়েই টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পেয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে চঞ্চল প্রশ্ন করেন, আমার ২য় ডোজ টিকা কাকে দেয়া হলো?
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হোসেন জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির জন্য এমনটি হয়েছে। এজন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা এমন ম্যাসেজ পেয়েছেন তারা যোগাযোগ করলে ২য় ডোজের টিকা প্রদান করা হবে।

