Site icon Jamuna Television

তালেবানের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র

ছবি: সংগৃহীত

মাসখানেক আগে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাতটি নতুন হেলিকপ্টারের ছবি পোস্ট করে, সেগুলো এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে কেবল সেই হেলিকপ্টারই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক, যুদ্ধ বিমান, রাতে দেখার বিশেষ চশমা, এমনকি বুলেট প্রুফ ভেস্ট এখন তালেবানের হাতে।

হেলিকপ্টার পাঠানোর পর পেন্টাগন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেছিলেন, আফগান বাহিনীকে এ ধরনের সহায়তা আরও দেয়া হবে।

এখন কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের সেই সব সমরাস্ত্র এখন তালেবানের হাতে, আফগান সেনারা যেগুলো ফেলে পালিয়েছে।

এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কাবুল সরকারের পতন ঘটার পর সাঁজোয়া যানের বহরের সামনে দাঁড়িয়ে তালেবান সদস্যরা পরীক্ষা করে দেখছে নতুন নতুন নানা সমরাস্ত্র। এর সাথে ড্রোনও ছিল।

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, যেসব সমরাস্ত্র ধ্বংস করা হয়নি তার সবই এখন তালেবানের হাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এবং বর্তমান বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা এই সমরাস্ত্রগুলো তালেবানের হাতে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এসব অস্ত্র নিরীহ ও বেসামরিক মানুষের উপর প্রয়োগ করা হতে পারে। এর বাইরে, ইসলামিক স্টেটের মতো সংগঠনের হাতে এসব সমরাস্ত্র পড়লে যুক্তরাষ্ট্রও আক্রান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তারা জানান, বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কাজ করছে।

অপর এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব সমরাস্ত্রের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানা নেই তাদের। তবে আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ২৮০০ কোটি টাকার সমরাস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে বন্দুক, রকেট, নাইট ভিশন গগলস, গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোন। এর সাথে আছে ৪০টিরও বেশি ইউএস-৬০ ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার, স্কাউট অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং স্কাই ইগল মিলিটারি ড্রোন।

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য মাইকেল ম্যাককাউল বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে তালেবান যোদ্ধাদের হাতে আফগান বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া আমেরিকান অস্ত্র দেখেছি। এটা আমাদের এবং আমাদের মিত্রদের জন্য একটা বড় হুমকি।

অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেছেন, যে সমরাস্ত্রগুলো তালেবানের হাতে গেছে সেগুলো স্পর্শকাতর প্রযুক্তি সম্বলিত নয়। তাই বেশিরভাগে ক্ষেত্রে বলা যায়, এগুলো এখন ট্রফি হিসেবে সাজিয়ে রাখার মতো।

তবে জেনারেল ভোটেলসহ অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, মেশিনগান, মর্টারের মতো যেসব অস্ত্র তালেবান পেয়েছে, সেগুলো তাদের লড়াইয়ে কাজে দেবে।
 

Exit mobile version