Site icon Jamuna Television

ঢাকায় কনস্যুলেট খুলবে দক্ষিণ আফ্রিকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

শিগগিরই ঢাকায় কনস্যুলেট খুলবে দক্ষিণ আফ্রিকা; শাখা হবে চট্টগ্রামে। যমুনা টেলিভিশনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিনিয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে, জমি লিজ নিয়ে কৃষিখামার স্থাপনের বিষয়েও।

অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশির বসবাস দক্ষিণ আফ্রিকায়। রেমিট্যান্স আয়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এই দেশটিতে যেতে বেশ বেগ পোহাতে হয় দুদেশের নাগরিকদের। বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দূতাবাস না থাকায় ভিসার জন্য যেতে হয় দিল্লিতে।

তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্থানীয় হোটেল শেরাটনে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, দূতবাস না হলেও শীঘ্রই বাংলাদেশে কনস্যুলেট অফিস খুলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশ সফরে যান ১৯৯৭ সালে। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, বাংলাদেশে সাউথ আফ্রিকার একটি মিশন খোলার, কিন্তু সেটি পরে আর খোলা হয়নি। আমরা মিশন খোলার প্রস্তাব ওদের দিয়েছি। তবে এখনই তাদের জন্য মিশন খোলা কঠিন হবে। তার আগে আমরা ঢাকায় একটি কনস্যুলেট খুলব। কনস্যুলেট অফিস খোলার সুবিধা হলো যে, আমাদের দেশের যারা সাউথ আফ্রিকায় আসতে চায় তাদের ভিসা পেতে সুবিধা হবে।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বিনিয়োগের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার একটি গার্মেন্টস খাত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, এ দেশে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিল আমাদের। আমরা এ দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। আমাদের ইনভেস্টার যারা আছেন তাদের বলব দক্ষিণ আফ্রিকায় বিনিয়োগ করতে। এতে আমাদের কিছু এক্সপার্টিসও আসবে, সেই সাথে ওদের জনশক্তিকেও কাজে লাগানো যাবে।

এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় জমি লিজ নিয়ে কৃষিকাজ সম্প্রসারণে আগ্রহী বাংলাদেশ। তবে বড় কৃষি খামারে আগ্রহ নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশে আমরা কন্টাক্ট ফার্মিং করবো। এখানে অনেক জমি পড়ে আছে, তারা জমিজমা আমাদের লিজ দিলে আমরা বাংলাদেশে যারা কৃষিখাতে অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে আসব। তবে আমাদের দেশের কেউ যদি স্মল ফার্মিংয়ের জন্য আসতে চায় সেইটা তারা এলাও করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক জাতিবিদ্বেষ নিয়েও কথা বলেছেন আব্দুল মোমেন। জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করেছে দেশটির সরকার।

/এসএইচ

Exit mobile version