Site icon Jamuna Television

ঝালকাঠির বকুল হত্যার রহস্য উন্মোচিত

ঝালকাঠির রাজাপুরে পাঁচ সন্তানের জননী হোসনেয়ারা বেগম বকুল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারী মো. শাকিলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘরের চাবি ও হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শাকিল নারায়ণগঞ্জ সদরের গোগনগর মুর্শিদাবাদ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। সে ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো।

পুলিশ জানায়, নিহত বকুল শাকিলের পূর্বপরিচিত ছিলেন। ওই এলাকায় শাকিল দিনমজুরের কাজ করতো। করোনার মধ্যে কোনো কাজ না থাকায় সে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন বকুলের গায়ে অনেক স্বর্ণালঙ্কার দেখে তা হাতিয়ে নিয়ে ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা করে শাকিল।

ঘটনার দিন, ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরি নিয়ে ভাড়ার ঘর দেখার কথা বলে বকুলকে তার বেডরুম থেকে ডেকে আনে শাকিল। এরপর তালা খুলে ভাড়ার ওই ঘরটির মধ্যে প্রবেশ করে শাকিল বকুলকে মেঝেতে ফেলে গলা টিপে খুন করে। বকুলের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সে সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে গলায় আঘাত করে। পরে বকুলের শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় শাকিল।

এ ঘটনায় বকুলের বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।

গত ১৮ আগস্ট পুলিশ সন্দেভাজন হিসেবে শাকিলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। ২০ আগস্ট পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহআলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শাকিলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে শাকিল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, বকুলের সাথে তার ছেলেমেয়েদের সম্পর্ক খারাপ থাকায় হত্যার দায় তাদের ওপর পড়বে বলেই শাকিল বকুলকে নির্ভয়ে হত্যা করেছে।

শাকিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘরের চাবি ও হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। রিমান্ড শেষে শাকিলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বকুলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে শাকিল এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় শাকিলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও দুটি মাদকের মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version