Site icon Jamuna Television

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভুয়া এএসপিসহ আটক ৩

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভুয়া এএসপিসহ ৩ জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভুয়া এএসপিসহ ৩ জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বালুখালী পানবাজার ক্যাম্পের এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প-৮ ইস্টরে সিআইসি অফিসের সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে তাদেরকে আটক করেন।

আটকরা হচ্ছেন, গোপালগঞ্জ জেলার বরফা পশ্চিম শুকতাইল এলাকার মো. শাহজাহান মোল্লার ছেলে মো. আহসান ইমাম, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মানসুর রহমান (২৯), ও পটুয়াখালী গলাচিপার মো. আব্দুল হক শিকদারের ছেলে মো. মিন্টু (৩০)। এ সময় একটি টয়োটা এ্যাভেঞ্জা গাড়ি জব্দ করা হয়। যার সামনে পেছনে পুলিশ লিখা স্টিকার লাগানো ছিল।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্যাম্প-৮ ইস্টের চেকপোস্টে এপিবিএন সদস্যদের সিগনাল অমান্য করে সামনে এবং পেছনে পুলিশ স্টিকারযুক্ত একটি টয়োটা এ্যাভেঞ্জা গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৬৭৩) ক্যাম্পের ভেতরের দিকে যেতে থাকে এবং সিআইসি ৮-ইস্টের অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে এসে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে গাড়িতে থাকা একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পিয়াল হিসেবে পরিচয় দেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে সে নিজেকে ৩৪তম বিসিএস পুলিশের একজন সদস্য যার বিপি নং-৩৩০৭১৭ এবং পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার, মিন্টো রোড, ঢাকা বলে জানায়।

তিনি বলেন, কথাবার্তায় সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্প কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ক্যাম্প কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ব্যক্তি এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে সে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নয়। গাড়িতে থাকা বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদে তার প্রকৃত নাম এবং পরিচয় জানা যায়। তার নাম মো. আহসান ইমাম। সে গোপালগঞ্জ সদরের মো. শাহজাহান মোল্লার ছেলে। সে নিজেকে কখনও এডিসি, কখনও এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে এবং উক্ত পরিচয় প্রদান করে প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত বলে জানা যায়। গাড়িতে ‘মো. আমানুল্লাহ পলাশ’ নামধারী একটি পুলিশ সার্জেন্টের আইডি কার্ডও পাওয়া যায় যেটি গাড়িতে থাকা কোনো ব্যক্তিদের নয় এবং প্রতারণার কাজে এটি ব্যবহৃত হয় বলে জানা যায়। বিস্তারিত জানার পর গাড়িটি জব্দপূর্বক তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।

উক্ত ব্যক্তিদের পরিচয়, কার্যক্রম এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রবেশের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানসহ উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় পানবাজার পুলিশ ক্যাম্পে একটি জিডিও করা হয়েছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version