ইংল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান ফুটবলারদের ইনজুরিমুক্ত রাখতে আবিষ্কার করেছে দারুণ একটি প্রযুক্তি। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি নির্ভর এই সফটওয়ার ব্যবহার করছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স থেকে শুরু করে নামীদামী সব ক্লাব। ফুটবলে হেডে’র মাধ্যমে সবচে বেশি ইনজুরির জন্ম হয়, আর সেটির সমাধানে তৈরি করা হয়েছে ‘প্লেয়ার টুয়েন্টি টু’ নামের আলোচিত এই ত্রিমাত্রিক সফটওয়ার।
সফটওয়ারটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেজিল’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এনডাই ইচেস জানান, রেজিল একধরনের ভার্চুয়াল বাস্তবতা নির্ভর প্রযুক্তি যা বিশ্বের সেরা দলগুলো ব্যবহার করছে। অনুশীলন, ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার জন্য এটা দারুণ। সবচে মজার ব্যাপার এটা খেলোয়াড়দের নতুন ধরনের স্কিল তৈরিতে সাহায্যও করছে।
সেই স্কিল আসলে হেডিং নির্ভর। ফুটবলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হেড। ম্যারাডোনার সেই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটিও কিন্তু হেডের গোল হিসেবেই স্বীকৃত। আর এই হেড দিতে যেয়ে ফুটবলে ইনজুরির শেষ নেই। সেটা মস্তিষ্কেরই বেশি! আর এ থেকে মুক্তি পেতে রেজিল তৈরি করেছে দারুণ এক ত্রিমাত্রিক সফটওয়্যার।
এনডাই ইচেস আরও জানান, প্লেয়ার টুয়েন্টি টু অনেকভাবে কাজ করে। রিয়াকশন টাইম, হেড আই কো-অর্ডিনেশনে উন্নতি করতে দারুণ কার্যকর এটি। বিশেষ করে হেডে’র ওপর কাজ করছি আমরা। ফুটবলারদের অধিকাংশ ইনজুরি হয় হেড থেকে। বিশ্বের সেরা কোচ ও ফুটবলাররা এখানে দেখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে নিরাপদে হেড দিতে হয়। গলা বা তারচে উপরের উচ্চতার বলে হেড দিতে মানা করছি আমরা; যদি কোমরের উচ্চতার বলে হেড দেয়া যায়, সেটি সবচে ভাল। কারণ, আপনি সেখানে বাড়তি শক্তি দিতে পারবেন ও গতি সৃষ্টি করতে পারবেন বলে।
চিকিৎসকরাও বলছেন রেজিলের এই ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ারকে দীর্ঘায়ত করবে। কারণ ইনজুরিমুক্ত থাকার নানা কৌশল রয়েছে এখানে। ত্রিমাত্রিক দুনিয়ায় হেডিং অনুশীলন, খেলার মাঠের বাস্তবতায় আরও নিখুঁত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে প্লেয়ার টুয়েন্টি টু নামের রেজিলের এই প্রযুক্তি।

