Site icon Jamuna Television

জিয়ার লাশের ছবি দেখাতে পারলে আমরা জাতির কাছে মাফ চাইবো: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানের লাশের ছবি দেখাতে পারলে বা তার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হচ্ছে এমন ছবি দেখাতে পারলে আমরা জাতির কাছে মাফ চাইবো। যমুনা টেলিভিশনের নিয়মিত টক শো আমজনতার ‘সমাধির সমাধি’ পর্বে অংশ নিয়ে এই কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর কিছুটা সময় চট্টগ্রাম বিদ্রোহীদের দখলে ছিল। সেই সময় পর্যন্ত হয়তো একজন রাষ্ট্রপতি মারা যাওয়ার পর যেমন নিয়মাদি পালন করার কথা সেগুলো হয়নি। সেটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তারপর যে সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা জিয়াউর রহমানের স্বপক্ষের লোক। তাহলে তারা যেটা দাবি করেন, জিয়ার মৃত্যুর পর তারা তার লাশ পেয়েছেন তাহলে সেটি পেয়ে থাকলে একজন রাষ্ট্রপতির লাশের নিশ্চয়ই ছবি থাকার কথা। সেটি প্রকাশ করলেই তো হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবেই হোক একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি মারা গেলেন। তার লাশের কোনো ছবি থাকবে না! একজন সাধারণ মানুষ মারা গেলেও তার ছবি থাকে। সেখানে তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি। তার লাশের নিশ্চয়ই কোনো ছবি থাকবে। তাকে চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হয়ে থাকলে তারও ছবি থাকবে। সেই ছবি আমাদের দেখিয়ে দিলেই তো সব শেষ হয়ে যায়।

মন্ত্রী বলেন, তার লাশের ছবি প্রকাশ করে দিলেই আমরা যত কথাই বলি কোনো কিছুই ধোপে টেকবে না। মানুষ বিশ্বাস করবে না। জিয়াউর রহমানের লাশের ছবি বা তাকে দাফনের ছবি আমাদের দেখালে আমরা যারা বলছি তার লাশ এখানে নেই তারা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো। আমরা ক্ষমা চাইবো যে, জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা সত্ত্বেও আমরা বলেছি এখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই।

যে কোনো লাশ ডিএনএ টেস্ট করলে বোঝা যায় এটা কার। আমি জাতীয় সংসদেও বলেছি, যদি বিএনপি দাবি করে সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে তবে ডিএনএ টেস্ট করে তারা প্রমাণ করুক এখানে জিয়াউর রহমানের লাশ এখানেই আছে।

তিনি বলেন, এখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে বলে জাতিকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে।

এই টক শো তে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর পাশাপাশি অতিথি হিসেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন কেন এই বিতর্ক। আমি এই বিতর্কের কোন প্রয়োজন দেখি না। এতদিন পর কেনো এই বিতর্ক সামনে আনা হলো! আওয়ামী লীগ তো ৯৬ সালেও ক্ষমতার ছিল তারা তখন কেন এখানে জিয়ার লাশ নেই এটি আবিষ্কার করেনি। আমি মনে করি, রাজনীতির স্বার্থে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে এই বিতর্কের জন্ম দেয়া হয়েছে।

পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Exit mobile version