Site icon Jamuna Television

প্রতিশোধ নিতে নৌকা ভাড়া করে হাত-পা বেঁধে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা

নাটোরের চলন বিলে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ছবি: প্রতীকী।

স্টাফ রিপোর্টার:

নাটোরে প্রতিশোধ নিতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নৌকার মাঝিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে  বায়োজিদ বোস্তামী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত সে মাঝির নাম আরজু ফকির (৩০)।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় নিজ কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় ঐ এলাকার আদম আলীর ছেলে নৌকার মাঝি আরজু ফকিরসহ স্থানীয়রা অভিযুক্ত বায়োজিদসহ তার দুই বন্ধুকে ধাওয়া দিয়ে মারপিট করেছিল। তখন থেকেই তিন বন্ধু মিলে আরজুকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল বায়েজিদ বোস্তামী।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত বায়েজিদ বোস্তামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সেই পরিকল্পনা মাফিক বায়োজিদ ও তার বন্ধুরা গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে সিংড়ার তিশিখালী মাজারে যাওয়ার কথা বলে ৭০০ টাকায় আরজুর নৌকা ভাড়া করে। পরে চলনবিলের বিলশা এলাকায় ফাঁকা জায়গা পেয়ে রাত নয়টার সময় আরজুকে দড়ি দিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে ফেলে বায়োজিদ ও তার বন্ধুরা। হত্যার পূর্বে আরজুর নিকট ১০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। পরে টাকা না পেয়ে তাদের কাছে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আরজুর মাথার পেছনে আঘাত করে তারা।

মাথা ও শরীরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আরজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বিলের পানিতে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। পানিতেই আহত অবস্থায় মৃত্যু হয় আরজুর। খুনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হত্যাকারীরা।

পরে শনিবার (২৮) আগস্ট সকাল আটটার দিকে গুরুদাসপুরের বিলসার হরদমা এলাকা থেকে আরজুর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট সকাল দশটায় নিহত আরজু ফকিরের বাবা আদম আলী অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডে জড়িত বায়োজিদ বোস্তামীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আরও দুই আসামি জড়িত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

/এসএইচ

Exit mobile version