আলোচিত আফগান সাংবাদিক বেহিস্তা আরঘান্দ। ছবি: সংগৃহীত
তালেবান শীর্ষ নেতার সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নারী সাংবাদিক বেহিস্তা আরঘান্দ প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন কাতারে। গণমাধ্যমকে এই নারী সাংবাদিক জানান, নিরুপায় হয়েই দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এমনকি কীভাবে আতঙ্কিত অবস্থায় ওই শীর্ষ তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নিতে বাধ্য হন, সেই বক্তব্যও তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে।
শীর্ষ তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এই নারী সাংবাদিক জানান, লাইভ সংবাদ চলাকালেই স্টুডিওতে ঢুকে পড়েন তালেবান সদস্যরা। এরপর শীর্ষ তালেবান নেতার ইন্টারভিউ নিতে তাকে বাধ্য করা হয়।
বেহিস্তা আরঘান্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ভয়ে আতঙ্কে আমার পুরোটা শরীর কাঁপছিল। মনে মনে শুধু আল্লাহকে ডাকছিলাম। আর ভাবছিলাম আজ প্রাণে বাঁচবো কিনা। কিন্তু একটা সময় মনে হলো, এটাই সুযোগ পৃথিবীকে দেখিয়ে দেয়ার যে, আফগান নারীরাও নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে জানে।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে সামরিক বিমানে ওঠেন বেহিস্তা। প্রায় আড়াই বছর ধরে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে কাজ করা এই নারী বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন কাতারে।
বেহিস্তা আরঘান্দ বলেন, আমার মা আমাকে বারবার নিষেধ করেছিলেন কাজে যেতে। কিন্তু আমি শুনিনি। কেনই বা শুনবো, গেল ২০ বছর ধরে তিলে তিলে এই দেশটা গড়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের জন্য। আমরা যদি নিজেদের অধিকার আদায় না করি তাহলে কে করবে?
নারীশিক্ষা এবং কাজে বাধা না দিতে তালেবানের প্রতি অনুরোধ জানান বেহিস্তা। এর পাশাপাশি নারীদের ঘরবন্দি না রাখতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানান এই গণমাধ্যমকর্মী।
/এমই
Leave a reply