Site icon Jamuna Television

স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের সায়

স্বেচ্ছায় মৃত্যুর পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। মৃত্যুশয্যায় নিদারুণ কষ্ট ভোগকারীদের এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শুক্রবার এই রায় দিয়েছে। এই অধিকারের বিষয়ে সায় দিয়ে তারা বলেন, সকল মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুবরণের অধিকার রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে এই অধিকার কার্যকর হবে।

আদালত আরও বলেছে, লাইফ সার্পোটে কোনও ব্যক্তি তার জীবনের ইতি টানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই সিদ্ধান্তকে কার্যকর বিষয়ে নিদের্শনা তৈরি করা হয়েছে।  এ ব্যাপারে আইন তৈরি না হওয়ার আগ অবধি এই নির্দেশনা মেনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

দেশটির শীর্ষ আদালত বলেছে, কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যদি জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, তবে তিনি নিজ জীবনের ইতি টানা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা মোতাবেক বাঁচার অধিকার থেকে শান্তিতে মৃত্যুর অধিকারকে আলাদা করা যায় না।

“কমন-কজ” নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ২০০৫ সালে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। আবেদনে তারা বলেছিল, বেঁচে থাকাটা মানুষের ব্যক্তিগত আধিকার। ঠিক তেমনই জীবন্মৃত অবস্থায় জড় পদার্থের মত বেঁচে থাকা কোনও ব্যক্তি যদি রোগ-যন্ত্রণা ভোগ করার বদলে সম্মানের সঙ্গে মরতে চান, তবে তাঁকেও সে অধিকার দেওয়া উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কমন কজের মতো সংগঠনগুলো। তাদের বক্তব্য, যন্ত্রণার যূপকাষ্ঠে বেঁচে থাকা মানুষগুলো এবার শান্তিতে মরতে পারবেন।

 

যমুনা অনলাইন: এফএইচ

Exit mobile version