Site icon Jamuna Television

রাখাইনে আরও বড় অভিযানের নির্দেশ সুচি সরকারের

মংডু, রথেডংসহ মোট ৫টি এলাকায় এতদিন চলছিলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান। এবার গোটা রাখাইনে অভিযান সম্প্রসারণের অনুমতি দিলো সুচি প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার থেকেই নতুন এলাকায় কথিত ‘জঙ্গি নির্মূল’ অভিযান শুরু করার কথা রয়েছে। মুখে ‘জঙ্গি নির্মুল’ অভিযান বলা হলেও বাস্তবে রোহিঙ্গাদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূলের অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে বিশ্বজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এ পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশেষ প্রতিনিধি।

রাখাইনে সেনাদের নতুন মাত্রার অভিযান বিষয়ে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউ জাও তে বলেন, বেশ কিছুদিন থেকেই সেনাপ্রধান পুরো রাখাইনকে অভিযানের আওতায় নেয়ার আবেদন করছিলেন। আজ তার অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট অফিস। এর ফলে আরাকান স্যালভেশন আর্মির সদস্যদের নির্মূলে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লেইং বলেন, স্যালভেশন আর্মির সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ১৬ জন সরকারি চাকরিজীবী প্রাণ হারিয়েছেন। তিন হাজারের মতো ঘর-বাড়ি আগুনে পোড়ানোর জন্যও আরসা’কে দায়ী করে তিনি বলেন, তাদের মূলোৎপাটনের জন্যেই সরকারের কাছে অভিযানের পরিধি বাড়ানোর অনুমতি চেয়েছি।

রোহিঙ্গা ওপর রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মিয়ানমার সরকার লুকোচুরি করলেও বিশ্বের কাছে সেখানকার পরিস্থিতি স্পষ্ট। এ কারণেই বিভিন্ন দেশে বাড়ছে সুচি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। এমনকি অং সান সুচির আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন শান্তিতে আরেক নোবেলজয়ী মালালা ইউসূফজায়ীও।

সংকট সমাধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। এর ইমধ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির সাথে দু’দফা বৈঠক করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, রেতনো মারসুদি কাজ শুরু করেছেন। তিনি রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে অনুরোধ জানিয়েছেন সুচিকে। তার পরবর্তী গন্তব্য বাংলাদেশ। সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের জরুরি ত্রান ও চিকিৎসা সেবার একটি তালিকা পাঠাবেন তিনি।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আগামীকাল বুধবার ঢাকায় আসছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জাভুসগ্লু। এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মালদ্বীপ। দমনপীড়নের প্রতিবাদস্বরূপ মিয়ানমারের সাথে সব ধরণের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দেশটি।

/কিউএস

Exit mobile version