Site icon Jamuna Television

গঙ্গায় দূষণ; ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

ছবি: সংগৃহীত

এক সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গঙ্গা ও তার শাখা নদীগুলো ছিল ইলিশের অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র। কিন্তু সম্প্রতি সেই চিত্র বদলেছে। প্রজননের জন্য গঙ্গার পরিবর্তে বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমারের বড় নদীগুলো বেছে নিচ্ছে ইলিশ।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের ইরাবতী নদীতে ইলিশের আনাগোনা নতুন নয়। তবে গঙ্গাবিমুখ ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে খুলনা, পটুয়াখালী কিংবা মিয়ানমারের সিতুয়ে মোহনায় এখন জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।

বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের খুলনা, চট্টগ্রাম, ভোলা ও পটুয়াখালীর মোহনায় প্রায় ৫৯ লক্ষ টন ইলিশ ধরা পড়েছে।

আর ভারতের মৎস্যজীবী সংগঠন ‘ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, গঙ্গায় ইলিশের আনাগোনা প্রায় শূন্য।

সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অব ড্যাম রিভার অ্যান্ড পিপল (এসএএনডিআরপি) তাদের রিপোর্ট বলছে, গঙ্গা থেকে অচিরেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ইলিশ।

ওই সংস্থার মৎস্য বিশেষজ্ঞ নীলেশ শেট্টি বলছেন, বড্ড বেশি অবহেলা করা হয়েছে গঙ্গাকে। পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার পাড়ে একশ’র বেশি পৌরসভার যাবতীয় আবর্জনা এবং নদীর তীরে গড়ে ওঠা কলকারখানার বর্জ্যে গঙ্গার দূষণ মাত্রা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। নোনা জলের ঘেরাটোপ থেকে তার ডিম সংরক্ষণে ইলিশের প্রয়োজন হয় কিঞ্চিৎ মিষ্টি পানির। নদীর কাছে সে জন্যই ফিরে আসে তারা। কিন্তু দূষণের ধাক্কায় গঙ্গার লবণের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেছে।

এসএএনডিআরপির সদ্য পেশ করা রিপোর্ট বলছে, গভীর সমুদ্র থেকে গঙ্গা মোহনার দিকে যাত্রা করেও শেষ মুহূর্তে মুখ ফেরাচ্ছে ইলিশ। গত দু’বছর ধরে এই প্রবণতা ছিল। এ মৌসুমে গঙ্গাবিমুখ ইলিশের অভিমুখ খুলনা, চট্টগ্রাম, ভোলা, পটুয়াখালীর মোহনা। কখনও বা মিয়ানমারের সিতুয়ে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Exit mobile version