Site icon Jamuna Television

ক্লাশ নিতে হচ্ছে অনলাইন অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই

শিক্ষার্থী মুখরিত ক্লাসের আবহ কি মিলবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে?

শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস। তবে এর পাশাপাশি চলছে অনলাইন ক্লাসও। দীর্ঘ বিরতির পর স্কুল-কলেজ খুললেও শিক্ষকদের এখনও দুই পদ্ধতিতেই নিতে হচ্ছে ক্লাশ। ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জিং হলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই মেনে নিচ্ছেন তারা।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ম থেকে ৪র্থ আর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস করবে সশরীরে। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে চলবে অনলাইন ক্লাস। তাই ৫৪৪ দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুললেও এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হচ্ছে অনলাইনে।

শিক্ষকরা জানালেন, বোর্ড পরীক্ষা টার্গেট করে যাদের ক্লাশ শুরু হয়েছে, তারা ব্যতীত বাকিদের অধিকাংশ ক্লাসই নিতে হচ্ছে অনলোইনে। এর ফলে এখন তাদের যেমন যেতে হচ্ছে স্কুলে বা কলেজে, পাশাপাশি নিতে হচ্ছে ভার্চুয়াল ক্লাশও।

রাজধানীর স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা ও প্রাপ্তি নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগ।

ঢাকার বাইরের একজন শিক্ষার্থী জানালেন, ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ায় অনেক সময় সাধারণ ভিডিও দেখতেও সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। শিক্ষক জানালেন, অনেকের স্মার্টফোনও নেই।

বিষয়টি জানা আছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের। সংকটের এই সময়ে বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানালেন, সবার হাতে স্মার্টফোন নেই, নেই নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধাও। তবে সমস্যাটি অল্প সময়েই সমাধান করা যাবে না। তবে সরকার এই সসস্যার সমাধানে কাজ করছে বলেও জানালেন তিনি।

দীর্ঘদিন পর সীমিত পরিসরে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। এখন শুধু সাবধানতা, সেই সাথে মনেপ্রাণে প্রার্থনা, শীঘ্রই পুরোদমে মুখরিত হবে প্রিয় ক্যম্পাস, ফিরবে প্রাণের পূর্ণচঞ্চলতা।

Exit mobile version