Site icon Jamuna Television

জীবন দিয়ে ছেলের ভালোবাসার মাশুল দিলেন বাবা

ভালবাসার টানে তরুণের হাত ধরে পালিয়ে যায় এক তরুণী। আর সেই অপরাধে ছেলের বাড়িতে নেমে আসে মেয়ে পক্ষের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারান ছেলের দিনমজুর পিতা। এমনকি আইনি সহায়তা চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

ছেলে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি অশীতিপর মিনহাজ উদ্দিন।

ঘটনার সূত্রপাত ২০ আগস্ট। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের টানে ধামরাই নওগাঁও গ্রামের দুই তরুণ-তরুণী বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার, ছেলের বাবা আমিনুল ইসলামকে নির্যাতনসহ জনসম্মুখে অপমান করে। ৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা মানসিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমিনুল। এরপর আর তাকে বাঁচানো যায়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।

এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি পরিবার। ছুটে যান ধামরাই পুলিশের কাছে। সেখানেও কোও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তারা। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পুলিশ তাদের এলাকায় বসে মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু তারা চান বিচার। স্বজনরা বলেন, যারা মিনহাজকে হত্যা করেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চান তারা।

স্থানীয়রা জানান, ছেলেকে না পেয়ে বাবাকেই মারতে মারতে নিয়ে যায় মেয়ের পরিবার। তাতেই গুরুতর আহত হয়ে পরদিন মারা যান মিনহাজ।

তবে অভিযুক্ত পরিবারটির দাবি, মেয়েকে ফিরে পেতে তারা শুধু চাপ প্রয়োগ করেছেন বলে দাবি মেয়ের মায়ের।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীদের তারা বলেছেন, মারা যাওয়ার সাথে সাথেই অভিযোগ করা উচিত ছিল। তাছাড়া নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।

আইনজীবীরা বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ঢাকা জজকোটের অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম শিহাব বলেন, এ ধরনের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলা হয়। দণ্ডবিধিতে এর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তাছাড়া এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Exit mobile version