Site icon Jamuna Television

দিনাজপুর টিটিসিতে হরিলুট

দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসির সাবেক অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি ফরমের টাকা আত্মসাৎ, সম্মানীর নামে ঘুষ আদায় ছাড়াও বিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। নানামুখী দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানাজানি হলেও বহাল তবিয়তে ক্রয় কমিটির প্রধান। ১৭ বছরের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে অডিট টিম।

কারিগরি যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দেয়াই মূল লক্ষ্য টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার টিটিসির। কিন্তু দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মাধ্যমে আখের গোছানোর অভিযোগ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

নতুন অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর চলতি বছরের মাঝামাঝি একটি চিঠি পাঠান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সেখানে এক কোটি টাকারও বেশি লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক অধ্যক্ষ মাসুদ রানা ও চিফ ইন্সট্রাকটর নিমাই কুমার দত্তসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বর্তমান অধ্যক্ষ আইনুল হক বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছরের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা এখানকার শিক্ষক-কর্মচারীরা আমাকে অভিযোগ করে। পরে আমি সেগুলো আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।

অধ্যক্ষের অভিযোগে সমর্থন জানিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কারিকুলামে নেই অথচ অটোমেশন পদ্ধতির আধুনিক পিএলসি মেশিন কেনা হয়েছে। আবার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ারও নজির আছে।

এছাড়া নানামুখী দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানাজানি হয় সম্প্রতি। অধ্যক্ষ বদলি হলেও বহাল তবিয়তে ক্রয় কমিটির প্রধান ও চিফ ইন্সপেক্টর নিমাই কুমার। সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন তিনি। তিনি জানান, সকল সরকারি নিয়ম মোতাবেক এখানকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে ১৭ বছরের দুর্নীতি উদঘাটনের পরিবর্তে এর সাথে জড়িত কর্মরতদের অভিযোগের সুত্র ধরে তদন্ত ও অডিট চলছে। এতে আড়ালে পড়েছে প্রকৃত দুর্নীতিবাজরা।

Exit mobile version