Site icon Jamuna Television

ভয়াবহ গ্যাস সংকটে গাজীপুরের শিল্পকারখানা

ভয়াবহ গ্যাস সংকটে ভুগছে গাজীপুরের শিল্পকারখানা। অনেক দিন ধরেই গাজীপুরে গ্যাসের চাপ কম। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়া ও সরবরাহ ঠিক মত না থাকায় বন্ধ হওয়ার পথে উৎপাদন। মাসের পর মাস বিঘ্নিত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদন। গ্যাসের চাহিদার এক-চতুর্থাংশ সরবরাহও পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গ্যাসের অভাবে সফিপুর, কোনাবাড়ি, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার মিল-কারখানাগুলোতে চলছে হাহাকার। কারখানার চাকা না ঘোরায় কর্মহীন কাটছে শ্রমিকদের সময়। তাদের অভিযোগ, গ্যাস সরবরাহের নামে ‘তামাশা’ করছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গাজীপুরের কোনাবাড়ি বিসিক শিল্পনগরীরতে। গ্যাস সংকটে বেশিরভাগ সময় কারখানার বিভিন্ন ইউনিট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বন্ধ থাকছে মেশিন। মুখ থুবড়ে পড়েছে ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান।

এক শ্রমিক বলেন, দুই-তিন মাস ধরে গ্যাসের চাপ নাই বললেই চলে।

আরেক কারখানা মালিক বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ঠিকমতো হচ্ছে না, ঠিকমতো শিপমেন্ট দিতে পারছিনা। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। এতে করে কোম্পানি প্রচণ্ড হিমশিম খাচ্ছে।

অন্যদিকে গ্যাস সংকটে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। জীবিকা নির্বাহ নিয়ে পড়েছেন দুচিন্তায়।

গাজীপুরে প্রায় দেড় হাজার শিল্পকারখানা ছাড়াও ২৫০ টি সিএনজিস্টেশন, ২৫০টি ক্যাপটিভবিদ্যুৎকেন্দ্র, ২১৪টিবাণিজ্যিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ১লাখ ১০হাজার ৬৭৩টি। শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে নতুন শিল্প সংযোগের অপেক্ষায়।

গ্যাস সংকট নিয়ে গাজীপুরের  তিতাস গ্যাসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল ওহাব তালুকদার বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আগের থেকে বেশি গ্যাস টানতেছে, আগামী সাত-আটদিনের মধ্যে এই এলাকার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

গ্যাস সংকটের পাশাপাশি কি পরিমাণ অবৈধ আবাসিক ও শিল্পসংযোগ আছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই তিতাসের কাছে।

 

Exit mobile version