Site icon Jamuna Television

মানিকগঞ্জে যেভাবে খুন করা হয়েছে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে

কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। ঘটনার তিনদিন পর এই খুনের রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। পুলিশ বলছে, স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুটে নেয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড।

গত ১১ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয় পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস আক্তারের। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী ছিলেন গাজীপুরে।

হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরতে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ হোসেন খান জানান, পূর্ব পরিচিত লিপি কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বিলকিস ও তার দুই শিশু সন্তানকে অজ্ঞান করে। এরপর বিলকিসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে ঘাতকদের একজন ধর্ষণও করেছিল তাকে।

এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাভার, গাজীপুর ও পাবনায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পরিবারের। নিছক ডাকাতি নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো তাও খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।

ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৪ আসামি। তাদেরকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Exit mobile version